অ্যান্ডারসনের নৈপুণ্যে উইন্ডিজকে হারাল ইংল্যান্ড

জেমস অ্যান্ডারসনের অসাধারণ নৈপুণ্যে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের শেষ দিনে সফরকারীদের পাওয়া জয়টি ৯ উইকেটে। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2015, 07:44 AM
Updated : 26 April 2015, 07:44 AM

গ্রেনাডায় শনিবার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে তিনটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নেন অ্যান্ডারসন। এ ছাড়া সরাসরি থ্রোতে জ্যাসন হোল্ডারকে রানআউট করেন তিনি। 
 
২ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। জয়ের জন্য ১৪৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
 
জোনাথন ট্রট কোনো রান না করে আউট হলেও গ্যারি ব্যালান্স ও অ্যালেস্টার কুক সহজেই দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান। ব্যালান্স ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর অধিনায়ক কুক করেন অপরাজিত ৫৯ রান। 
 
দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৪ রান তুললেও কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু স্বাগতিকদের পতনের শুরু হয় অ্যান্ডারসন নতুন বল হাতে নেওয়ার পর থেকে। 
 
দিনের সপ্তম আর ইনিংসের ৮২তম ওভারে নতুন বল হাতে নেন অ্যান্ডারসন। এরপর ৪ ওভারের একটি স্পেলে তিনি তছনছ করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডলঅর্ডার। এই চার ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট, মারলন স্যামুয়েলস ও শিবনারায়ন চন্দরপলের উইকেট তিনটি নেন অ্যান্ডারসন।

২৫২ বলে ১১৬ রান করে জো রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্র্যাথওয়েইট। স্লিপে কুকের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে চন্দরপল করেন ৭ রান। আর ১০৩ বলে ৩৭ রান করা স্যামুয়েলস উইকেটের পেছনে জস বাটলারকে ক্যাচ দেন। 
 
এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কোর বোর্ডে রান কিছু হয়ত তারা বাড়াতে পারত। কিন্তু ফিল্ডিংয়েও অ্যান্ডারসন ছিলেন অনন্য। অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফেরান তিনি। হোল্ডারকে রানআউট করার পর সহজ ক্যাচ নিয়ে ফেরান কেমার রোচকে।

অসাধারণ ফিল্ডিং করার সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন অ্যান্ডারসন। প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেট পান তিনি। তবে ম্যাচ সেরা হন প্রথম ইনিংসে ১৮২ রান করে ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়া রুট।

অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হয়। আর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টটি ব্রিজটাউনে শুরু হবে আগামী ১ মে।