সাব্বির যখন ক্রিজে আসেন তখন ৩৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে একটু চাপেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাবলীল ব্যাটিংয়ে অতিথি বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণে যান সাব্বির।
“কোনো ভয় কাজ করেনি। আমি চেষ্টা করেছি ‘বল টু বল’ খেলার জন্য।”
মুশফিকুর রহিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন সাব্বির। তিনি জানান, মাঠ ছাড়ার আগে তাকে দেওয়া মুশফিকের পরামর্শ ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সহায়তা করেছে।
“আমি যখন মুশফিক ভাইকে অতিক্রম করি তখন উনি আমাকে বলেছেন, উইকেট অনেক ভাল। তুই দাঁড়িয়ে থাকলেই খেলতে পারবি। তিনি ইতিবাচক কথা বলেছেন, এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।”
প্রস্তুতি ম্যাচে শতক করে বিসিবি একাদশকে জিতিয়েছিলেন সাব্বির। ৩-০ ব্যবধানে জেতা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খুব একটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি তার। সুযোগ পাওয়ার পর আর কাজে লাগাতে ভুল করেননি তিনি। অপরাজিত ৫১ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন এই তরুণ।
“সবচেয়ে বড় বিষয় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে। আমি আগেও বলেছি, আমি ১ রান করলেও যদি দল জেতে, সবচেয়ে বড় বিষয় সেটি। শতক করার পরও যদি ম্যাচ হারি, এটা খুব খারাপ হবে আমার জন্য। যখন আমি নামব কিংবা খেলব, তখন যেন বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারি।”
অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১০৫ রানের জুটি উপহার দেওয়া সাব্বির জানান, টি-টোয়েন্টিই তার প্রথম পছন্দ। তবে ওয়ানডেও খুব উপভোগ করেন তিনি।