১৯ বছর বয়সী মুস্তাফিজের হাতে বাংলাদেশের টুপি তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বাংলাদেশের বোলিং উদ্বোধন করে মুস্তাফিজ। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি, সেই ওভারের পাঁচ বলে কোনো রান দেননি তিনি। তার পরের ওভারটি মেডেনই হতে পারতো। শেষ বলে কোনো মতে এক রান নিয়ে মেডেন ঠেকান আহমেদ শেহজাদ।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শেহজাদ তার ১১ বল খেলে মাত্র এক রান নিতে পারেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই শেহজাদের অপরাজিত শতকেই বড় ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান শহিদ আফ্রিদিকে আউট করে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট নেন মুস্তাফিজ। নিজের তৃতীয় ওভারে ১১ রান দেন এই তরুণ।
অষ্টাদশ ওভারে নিজের শেষ ওভারটি করেন মুস্তাফিজ। এই ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিপজ্জনক হয়ে উঠা চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙেন তিনি।
সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ৮টি প্রথম শ্রেণির ও ৫টি লিস্ট ‘এ’ খেলা মুস্তাফিজ এই প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলছিলেন তিনি। দলে ডাক পাওয়ায় ম্যাচ শেষ না করেই চলে আসতে হয় তাকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে চমৎকার বল করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি।