রোববার তামিমের অপরাজিত ১১৬ রানের ওপর ভর করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
৭৯ রানে জেতা প্রথম ম্যাচেও শতক করেছিলেন তামিম। সেই ম্যাচে অবশ্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা হয়নি তার। দারুণ এক শতক করে ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের নায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
২০১১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। সেই ম্যাচে স্বাগতিকরা ৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৮ উইকেটে জিতেছিল।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকার পর আবার অপরাজিত থাকলাম। প্রথমবারের মতো একশ’ করে অপরাজিত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
শাহরিয়ার নাফীস ও মাহমুদউল্লাহর পর বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা দুই ম্যাচে শতক করেন তামিম। কয়েকটা ম্যাচে রান না পাওয়ায় চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। তাই প্রথম ওয়ানডের শতকটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন তামিম। ৩১ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো এই ব্যাটসম্যান শতকের কথা ভাবেন ৮০ রান করার পর। তিনি জানান, এই সময়ে ক্রিজে থাকা মুশফিক কয়েকবারই তাকে শতক করার কথা মনে করিয়ে দেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বড় অর্জন। এই অর্জনে খুব একটা ভূমিকা না থাকলেও সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিম।
“ওরাই হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ওরা সব সময় দলের জন্যে খেলে। ওদেরকে নিজের জন্যে কখনো ব্যাটিং করতে দেখিনি। ওরা মাত্র নতুন করে শুরু করেছে। সবাই ওদের সমর্থন দিন।”