টানা দুই শতকে নতুন উচ্চতায় তামিম

পর পর দুই ম্যাচে দুই মেজাজের ব্যাটিং করে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই ওয়ানডেতে শতকের ইনিংস উপহার দিয়েছেন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2015, 03:49 PM
Updated : 19 April 2015, 07:44 PM

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা দুই ওয়ানডেতে শতক করেন মাহমুদউল্লাহ। ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তিন অঙ্কের রান তোলেন তিনি।

এর আগে ২০০৬ সালে শাহরিয়ার নাফীস বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ওয়ানডেতে শতক করেন।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তামিমের শুরুটা ছিল ধীরলয়ে; পরে তিনি মেলেছিলেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পসরা। রোববার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম শুরুতে ছিলেন আগ্রাসী, পরে ছিলেন ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি।

প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক তুলে নেওয়ার পথে অর্ধশতক তিনি করেন ৭৫ বলে। রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে তামিমের প্রথম পঞ্চাশ এলো মাত্র ৩১ বলে; ১২টি চোখধাঁধানো চারের মারে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে শতকের ঘরে পৌঁছাতে তামিম দ্বিতীয় পঞ্চাশ রান তোলেন ৩৭ বলে। রোববার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতকের পথে দ্বিতীয় পঞ্চাশ রান এই মারকুটে ব্যাটসম্যান তোলেন ৭৭ বল খেলে।

আগের ম্যাচে ১১২ বলে শতক পূরণ করেন তামিম। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতক এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তুলে নেন ১০৮ বলে ১৬টি চারে।

দুই ইনিংসেই রাজসীকভাবে শতকের ঘরে পৌঁছান তামিম। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের স্পিনার সাইদ আজমলকে দারুণ এক চার মেরে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। এবার জুনায়েদ খানকে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে শতক পূরণ করেন তিনি।

বাংলাদেশকে সিরিজ জিতিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তামিম। ১১৬ বলে ১১৬ রানের ইনিংসটি ১৭টি চার ও একটি ছক্কায় সাজান তিনি। আগের ম্যাচে ১৩৫ বলে ১৩২ রান করেছিলেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

তামিম পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেন সমালোচকদের তোপের মুখে থেকে। এর আগে ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাম্বানটোটার ম্যাচে সর্বশেষ শতক করেছিলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপেও শতকের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন তামিম, কিন্তু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রান তুলে আউট হওয়ায় সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারেননি তিনি। সব সমালোচনার জবাব পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপকে সামলে দিয়ে দিলেন তামিম।