স্ট্যার্কের মুখোমুখি হওয়া প্রায় সব ব্যাটসম্যানই বিধ্বংসী গতিতে সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের এমন নাস্তানাবুদ করে বিশ্বকাপের এ আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। আর মেলবোর্নের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতদিন বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হওয়ার কৃতিত্ব ছিল কেবল গ্লেন ম্যাকগ্রার। ২০০৭ সালে এ পুরস্কার পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক পেসার। এবার গত ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিপক্ষকে ভয়ে রাখা স্ট্যার্ককে বেছে নিতে সমস্যা হয়নি নির্বাচকদের।
বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় স্ট্যার্ক সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্বকাপের এ আসরে ব্যাট-বলের কিছু চমৎকার পারফরম্যান্স হয়েছে। অবশ্যই কিছু বড় স্কোর, কয়েকটায় দ্বিশতক হয়েছে...কিন্তু পুরো আসরটাই চমৎকার হয়েছে।”
নিউ জিল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল এবং ক্রিস গেইল বিশ্বকাপের এ আসরে দ্বিশতক করলেও স্ট্যার্ক ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য সেরা পছন্দের।
স্ট্যার্ক ২২ উইকেট নেন। সমান ২২টি উইকেট নেন নিউ জিল্যান্ডের সিমার ট্রেন্ট বোল্ট কিন্তু বোল্টের চেয়ে স্ট্যার্কের গড় (১০.১৮) ছিল অনেক ভালো।
রোববার মেলবোর্নের ফাইনালে বাঁহাতি এই পেসার সাফল্য তুলে নেন প্রথম ওভারেই; নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক এবং বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ইয়র্কারে বোল্ড করেন তিনি।
‘ব্ল্যাক ক্যাপস’ নামে পরিচিত দলটি এই ক্ষত আর কখনোই পুষিয়ে নিতে পারেনি এবং ৪৫তম ওভরে মাত্র ১৮৩ রান তুলে গুটিয়ে যায় তারা।
ম্যাককালামের আউট নিয়ে স্ট্যার্ক বলেন, “(ম্যাককালাম) তাদের জন্য মূল খেলোয়াড় এবং দলকে দারুণ সূচনা এনে দেওয়ার জন্য চমৎকার একজন ব্যাটসম্যান।”
“আমরা জানতাম, তার এগিয়ে যাওয়া আটকাতে হবে। কেননা সে খুবই অননুমেয়। শুরু থেকে তাকে ইয়র্কার দেওয়ার জন্য বোলিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকডারমটের সঙ্গে আমারও কিছুটা পরিকল্পনা ছিল”, যোগ করেন তিনি।
স্ট্যার্ক আরো বলেন, “আমি নিশ্চিত জানি না কিভাবে প্রথমটা ‘মিস’ হলো; কিন্তু ভাগ্যক্রমে তৃতীয়টা আঘাত করল। কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল, কিন্তু পরিকল্পনা কাজে লাগা দেখতে পাওয়াটা দারুণ।”
এই গ্রীষ্মেই শেন ওয়ার্ন ‘যথেষ্ট আগ্রাসী নয়’ বলে স্ট্যার্কের সমালোচনা করেন। কিন্তু ওয়ার্নের সব সন্দেহ ভুল প্রমাণ করেছেন স্ট্যার্ক। তিনি এখন আশা করছেন, ওয়ানডের এই পারফরম্যান্স তাকে আরো বেশি টেস্ট খেলতে সাহায্য করবে।
“গত ১২ থেকে ১৮ মাস আমি ওয়ানডে দলের অংশ বলে অনুভব করছি। এটাকে টেস্টে টেনে নিতে পারলে ভালো লাগবে। … কিন্তু এখনো সাদা এবং লাল বলে করার অনেক কাজ করার আছে।”