সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড ফাইনাল

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ ছয় ম্যাচে জয় পেয়েছে দলটি। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই নিউ জিল্যান্ডও। বিশ্বের প্রথম ওয়ানডের এই ভেন্যুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2015, 02:47 PM
Updated : 28 March 2015, 02:52 PM

রোববার এমসিজিতে একাদশ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড।

১: নকআউটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একবারই খেলে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৬ সালের কোয়ার্টার-ফাইনালের সেই ম্যাচে জেতে অজিরা। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে নয়বার মুখোমুখি হয় দল দুটি। এবারের আসরে অকল্যান্ডে সর্বশেষ দেখায় তৃতীয় জয়টি পায় কিউইরা।

৩: এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ৫ ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ড জিতেছে তিনটিতে। তবে সব মিলিয়ে এই মাঠে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। নিউ জিল্যান্ডের ৪টি জয়ের বিপরীতে স্বাগতিকরা জিতেছে ১৪ বার।

৩: এমসিজিতে শেন ওয়াটসন তার শেষ পাঁচ ওয়ানডে ইনিংসে তিনবার শূন্য রানে আউট হন।

৬: এমসিজিতে সর্বশেষ খেলা ৬ ম্যাচে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এখানে তারা শেষবার হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছে, ২০১২ সালে।

৭: ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টের এনিয়ে সাতবার ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। আর কোনো দলই তিনবারের বেশি ফাইনালে উঠেনি, অন্যদিকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এই প্রথম খেলবে নিউ জিল্যান্ড।

৯: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৯ ইনিংস আগে শেষবার অর্ধশতক করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। এই নয় ইনিংসে ১৭.১১ গড়ে ১৫৪ রান করেন তিনি, সর্বোচ্চ ছিল ৪০ রান। অস্ট্রেলিয়া বর্তমান দলের বোলারদের মধ্যে  ওয়াটসনের ২৯ বল খেলে ৩ বার আউট হন গাপটিল। 

১০: স্টিভেন স্মিথ ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ১০টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেন। তার প্রথম ৩৮ ওয়ানডেতে একটিও অর্ধশতক ছিল না। গত অক্টোবর থেকে চারটি শতক ও ছয়টি অর্ধশতকসহ ৬৭.৭৩ গড়ে ১ হাজার ১৬ রান করেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় স্মিথের ৩৩৭ রান বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার ৩ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান।

১৪: এবারের আসরে ৭৫ ওভার বল করে ১৪টি মেডেন নেন ট্রেন্ট বোল্ট, যা অন্য যে কোনো বোলারের চেয়ে ৭টি বেশি। ২৯৬টি বলে কোনো রান দেননি নিউ জিল্যান্ডের এই বাঁহাতি পেসার- এই বিশ্বকাপে সব বোলারদের মধ্যে এটাও সর্বোচ্চ। 

১৬.১৭: অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দলের বোলারদের বিপক্ষে রস টেইলরের ব্যাটিং গড় ১৬.১৭। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬২.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ১৯৪ রান করেন তিনি। মিচেল জনসনের ১৩২ বল খেলে পাঁচবার আর ওয়াটসনের ৮২ বল খেলে চারবার আউট হন টেইলর। ক্যারিয়ারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি শতক ও ছয়টি অর্ধশতকসহ ৩৬.৩৮ গড়ে ৭৬৪ রান করেন টেইলর- যে কোনো দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটা তার সর্বোচ্চ রান।

১৭: এই বিশ্বকাপে বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে হওয়া ৫৮ ছক্কার মধ্যে ১৭টি হাকান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ম্যাককালামের ১৭টি ছক্কা কোনো বিশ্বকাপে এক জন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ১৫০ বল খেলে ৫৯ বার সীমানার বাইরে বল পাঠান ম্যাককালাম। প্রথম দশ ওভারে ২০৫.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৩০৮ রান করেছেন তিনি। এবারের আসরের আট ইনিংসে একবারই মাত্র ১০ ওভারের পরে ব্যাট করেন তিনি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে। সেই ম্যাচে ১০ ওভারের পর কোনো ছক্কা হাকাননি নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক।

২৫.৭১: এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটির গড় রান ২৫.৭১। গত সাত ইনিংসে একবারই মাত্র অর্ধশতকের জুটি গড়েন দলটির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

৬৫.৬১: এমসিজিতে অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটিং গড় ৬৫.৬১। এই মাঠে ছয় ইনিংসে দুটি শতক ও একটি অর্ধশতক করেন তিনি, এখানে তার শেষ চারটি ইনিংস ১৩৫, ৯৬, ২২, ১২১। উদ্বোধনী জুটিতে ফিঞ্চের সঙ্গী ডেভিড ওয়ার্নারের এই মাঠে পারফরম্যান্স ভালো নয়; সাত ইনিংসে ১২৯ রান করেন তিনি।

২০৮: ওয়ানডেতে মিচেল জনসনের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম ও গাপটিলের মোট রান ২০৮। জনসনের ১০২ বলে ১১৩ রান করেন ম্যাককালাম, এর মধ্যে একবারই আউট হয়েছেন তিনি। আর বাঁহাতি এই পেসারের ১৩২ বল খেলে দুইবার আউট হয়ে ৯৫ রান করেন গাপটিল।

১৯৮১: কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে এর আগে একবারই হারায় নিউ জিল্যান্ড, ১৯৮১ সালের সেই ম্যাচটি ছিল ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ফাইনাল। তারপর থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১২টি ফাইনালে হারে নিউ জিল্যান্ড, যার শেষটি ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।