সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়া-ভারত সেমি-ফাইনাল

বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে অজেয় অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ৬ বার খেলে কখনো হারেনি তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একবার টাই করা ছাড়া বাকি পাঁচটিতেই জয় পায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ চারের ম্যাচটি তাই ভারতের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2015, 04:31 PM
Updated : 25 March 2015, 04:31 PM

বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় মুখোমুখি হবে দল দুটি।

১ এসসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩ ওয়ানডে খেলে মাত্র একটিতে জেতে ভারত। সেটিও ২০০৮ সালের ত্রি-দেশীয় সিরিজের প্রথম ফাইনালে। দুটির বেশি ওয়ানডেতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছে এমন মাঠের মধ্যে এসসিজিতে ভারতের জয়-পরাজয়ের অনুপাত সবচেয়ে খারাপ; ০.০৮৩।

১০-৩০ অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভারতের জয়-পরাজয়ের রেকর্ড ১০-৩০। ২০১২ সালে অ্যাডিলেইড ওভালে স্বাগতিকদের শেষ হারিয়েছিল তারা। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভারতের জয়-পরাজয়ের অনুপাত দ্বিতীয় বাজে ০.৩৩। তাদের জয়-পরাজয়ের অনুপাত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবচেয়ে খারাপ ০.২৪। সেখানে স্বাগতিকদের কাছে ২১টি জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৫টি।

০ এ পর্যন্ত ৬ বার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলে কখনো হারেনি অস্ট্রেলিয়া। একবারই মাত্র সেমি-ফাইনালে জিততে পারেনি তারা; ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি টাই হয়েছিল। আর ভারত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ৫ বার খেলে তিনটিতে জেতে।

১-১ বিশ্বকাপের নকআউটে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মুখোমুখি লড়াইয়ে একবার করে জেতে। ২০০৩ সালের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া আর গতবার কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারত জেতে। শিরোপাধারীরা ছাড়া বিশ্বকাপের নকআউটে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর কৃতিত্ব রয়েছে শুরু শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

৮-২ এসসিজিতে শেষ ১০ ওয়ানডে খেলে ৮টিতে জেতা অস্ট্রেলিয়া হারে দুটিতে। স্বাগতিকদের দুটি হারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারায় স্বাগতিকরা।

১-৯ এসসিজিতে দিবা-রাত্রির ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলগুলোর জয়-পরাজয়ের রেকর্ড ১-৯। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৭৬ রানের ম্যাচ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪০৮ ম্যাচ দুটি এই পরিসংখ্যানে ধরা হয়নি। এই দুই ম্যাচ বাদ দিলে ২০১১ সালের পর একবারই মাত্র এসসিজিতে দিবা-রাত্রির ম্যাচে আগে ব্যাট করা দল জেতে। ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২৫৩ রান করে জয় পায়।

১৬৫ এবারের আসরে ৬ ম্যাচে মাত্র একটি অর্ধশতকসহ অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটির মোট রান ১৬৫। দুটি শতকসহ ৪২.৭৫ গড়ে ইনিংস উদ্বোধন করা দুই ব্যাটসম্যানের মোট রান ৫১৩। এর মধ্যে ৩১৩ রান হয় দুই ইনিংসে- আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৭৮ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যারন ফিঞ্চের ১৩৫ রান। ব্যাটসম্যানদের অন্য ১০ ইনিংসে মিলিয়ে হয় ২০০ রান, যার গড় ২০ আর সর্বোচ্চ ৪৭ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।

১৮.১৪ এসসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪ ইনিংসে ভারতের উদ্বোধনীর জুটির গড় রান ১৮.১৪। তাদের দুটি অর্ধশত রানের জুটির শেষটি ২০০৮ সালে করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার ও রবিন উথাপ্পা। অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভারতের সর্বশেষ শতরানের জুটিতেও ছিলেন টেন্ডুলকার। ২০০৪ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিরেন্দর শেবাগের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়েন তিনি।  

০ এই বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র দল যারা ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তারা ৭.৩৬ গড়ে ২২৭ রান করে। মাত্র এক উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াও এই ওভারগুলোতে ভালো করে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৭.৮৫ গড়ে ১৫৭ রান করে দলটি, দক্ষিণ আফ্রিকার (৯.৪৩) পর তাদের গড়ই সবচেয়ে বেশি।

২১.৬৪ এবারের আসরে ভারতের বোলিং গড় ২১.৬৪। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই তাদের বোলারদের সেরা গড়। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ৬৮ উইকেট নেয়া দলটির বোলারদের গড় ছিল ২২.৫১, যা এতো দিন তাদের সেরা গড় ছিল।    

৪১ ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে ৪১টি উইকেট নেন মিচেল জনসন। যে কোনো দলের বিপক্ষে এই এটাই তার সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কৃতিত্ব। ওয়ানডেতে ২০০৮ সালের ত্রি-দেশীয় সিরিজে শেষ বার ভারতের বিপক্ষে বল করে ৩৩.৬৬ রান গড়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

১৮.৮০ এটা ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে বিরাট কোহলির রানের গড়; ৬ ইনিংসে ৯৪ রান করেন তিনি, সর্বোচ্চ ৩১। আর অস্ট্রেলিয়ার বাইরে তাদের বিপক্ষে ৭৫.১৪ গড়ে রান করেন কোহলি, ৯ ইনিংসের মধ্যে ৩টি শতক ও ২টি অর্ধশতক রয়েছে তার।