মঙ্গলবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথম সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে হারায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক নিউ জিল্যান্ড। এই জয়ে এ পর্যন্ত সাতটি সেমি-ফাইনাল খেলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল তারা।
নাটকীয় ম্যাচটিতে শেষ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। শেষ ২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। পঞ্চম বলে ডেল স্টেইনকে অসাধারণ এক ছয় মেরে জয় তুলে নেন এলিয়ট।
ম্যাচ শেষে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ম্যাচ জেতানো এই ছয় নিয়ে কথা বলেন ৭৩ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকা এলিয়ট।
“ছয়টি মারার সময় আমার মনে কোনো কিছুই খেলা করছিল না। এমনকি আমি জানিও না বলটি কোথায় গেছে।”
রস টেইলরের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। টেইলর, কোরি অ্যান্ডারসন আর লুক রনকি চলে গেলে ড্যানিয়েল ভেটোরির সঙ্গে জুটি বাধেন তিনি। অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান।
ম্যাচ শেষে এই জয়ে সমর্থকদেরও অবদান থাকার কথা বলেন ম্যাচ সেরা এলিয়ট।
“এই জয় আমার বা দলের বলে মনে করি না, এই জয় এখানে আসা সবার। সমর্থকরা অসাধারণ ছিল।”
এলিয়ট যখন এই কথা বলছিলেন, গ্যালারির জয়োল্লাস তখন তুঙ্গে। এলিয়টের কৃতজ্ঞতা স্বীকারের কথা শুনে আনন্দে ফেটে পড়ে তারা। বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যেই এলিয়ট বাকি কথাটুকু শেষ করেন।
“প্রত্যেক বলে আপনাকে যখন ৪৫ হাজার সমর্থক চিৎকার করে সমর্থন জানাবে… এই সমর্থকদের সামনে খেলা আসলে অসাধারণ এক আনন্দ।”
নিউ জিল্যান্ডের সমর্থকদের সামনে তাদের সমর্থন নিয়ে যে এলিয়ট দক্ষিণ আফ্রিকাকে বধ করলেন, তার জন্ম আসলে জোহানেসবার্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্লাস্টিক সার্জনের এই ছেলের ক্রিকেটে হাতেখড়িও সেখানেই।