সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে চারবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। এ ম্যাচ সামনে রেখে দুই দলের স্লেজিংয়ে জড়ানোর অতীত ফিরে ফিরে আসছে।
বিশ্বকাপের একাদশ আসরের সেমি-ফাইনাল সামনে রেখে জনসন মঙ্গলবার ফক্স টিভিকে বলেন, “আমি শুনলাম ডেভি (ডেভিড ওয়ার্নার) বলেছে, সে ওসব কাজে জড়াবে না। কাউকে তো এটা করতে হবে এবং আমি দায়িত্বটা নিতে পারি।”
কোয়ার্টার-ফাইনালে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে সতীর্থ শেন ওয়াটসনের দ্বৈরথের প্রসঙ্গ টেনে জনসন আরো জানান, ওয়াটসন-ওয়াহাবের ঘটনাটি ছিল ভিন্ন রকমের এবং তিনি মনে করেন ‘স্লেজিং’ খেলাধুলারই অংশ।
দুই দলের সেমি-ফাইনালের লড়াইটা আরো উপভোগ্য হবে বলে মনে করেন জনসন।
দুই দলের খেলোয়াড়দের কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই মাঠ আর মাঠের বাইরে উত্তেজনাময় দ্বৈরথের জন্ম দেয়, কখনও কখনও তা অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে উদাহরণ ২০০৭-’০৮ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘটে। ম্যাচটি হয়েছিল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। শেষ দিনে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে নাটকের শুরু সেখান থেকেই।
বিশ্বকাপের আগে টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার আর ভারতের ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান ঝগড়া করে জরিমানা গুনেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্ট্যার্ককে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। টেস্ট সিরিজের উত্তাপ পরে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজেও ছিল। রোহিত শর্মাকে ‘ইংরেজি বলতে’ বলার দায়ে ওয়ার্নার আবার জরিমানা গুনেছেন।
এই জন্যই হয়তো ওয়ার্নার এবার স্লোজিং করা থেকে সরে আসতে চান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ম্যাচের স্লেজিংয়ের অতীতকে সিডনিতে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে উত্তেজনাটা ধরে রাখলেন জনসন।