দুই দলের খেলোয়াড়দের কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই মাঠ আর মাঠের বাইরে উত্তেজনাময় দ্বৈরথের জন্ম দেয়, কখনও কখনও তা অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে উদাহরণ ২০০৭-’০৮ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘটে। ম্যাচটি হয়েছিল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। শেষ দিনে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে নাটকের শুরু সেখান থেকেই।
আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ছিল ভারতের। সেই দলের স্পিনার হরভজন সিং অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের বিরুদ্ধে বর্নবাদী আচরণ করায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। আর এই কেলেঙ্কারিটা ‘মাঙ্কিগেইট’ নামে পরিচিতি পায়।
এর দায়ে হরভজন তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। বিষয়টি ভারতকে কষ্ট দেয়, সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যাওয়ার কথাও বলেছিল তারা। আইসিসি বিষয়টির মীমাংসা করে, শাস্তি কমানও হয় এবং ভারত সফর শেষ করতে রাজি হয়।
ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আবার মনে পড়ছে অনেকের। বিশ্বকাপের আগে দুই দেশের সিরিজ দিয়ে লড়াইয়ের উত্তাপ আবার ছড়াতে শুরু করে।
টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার আর ভারতের ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান ঝগড়া করে জরিমানা গুনেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্ট্যার্ককে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
টেস্ট সিরিজের উত্তাপ ওয়ানডে সিরিজেও ছিল। রোহিত শর্মাকে ‘ইংরেজি বলতে’ বলার দায়ে ওয়ার্নার আবার জরিমানা গুনেছেন।
বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দুই দলের মুখোমখি হওয়াতে আবার অনেকেই নড়েচড়ে বসছেন। অনেকেই মনে করছেন আবার হয়ত এরকম কিছু ঘটতে পারে।
দুই দলের খেলোয়াড়দের তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ম্যাচ নিয়ে মাঠের উত্তাপ এতে কমবে না বলেই মনে হয়। সোমবার অস্ট্রেলিয়া দলের অনুশীলনের আগে জেমস ফকনারের কথায় সেই উত্তাপের আঁচ পাওয়া গেল।
"আমি মনে করি, খেলায় সবসময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। এটা না থাকলে আপনি সমস্যায় পড়বেন। খেলার ধর্মই এমন।"