পরিসংখ্যানে নিউ জিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ

বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকে বারবার খালি হাতে ফেরার কারণে নিউ জিল্যান্ডের নামই হয়ে গেছে ‘সেমির দল’। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারের আসরেই প্রথম নকআউট পর্বে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2015, 12:12 PM
Updated : 23 March 2015, 12:12 PM

এমন অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে আগামী মঙ্গলবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল।

দুটি দলের সামনেই রয়েছে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার হাতছানি। স্বাগতিক হিসেবে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নিউ জিল্যান্ড কিছুটা হলেও এগিয়ে। তবে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দক্ষিণ আফ্রিকাও রয়েছে দারুণ ছন্দে। শেষ চারের ম্যাচটির আগে দুই দলের সম্পর্কে আরও কিছু পরিসংখ্যান জেনে নেওয়া যাক।

*  ওয়ানডেতে সব টুর্নামেন্ট মিলে এর আগে ৯টি সেমি-ফাইনাল খেলে একবার মাত্র জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ৭টিতে হেরেছে, অন্যটি টাই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেমি-ফাইনালে টাই করেছিল তারা; সুপার সিক্সের পয়েন্ট তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে নিচে থাকার কারণে বাদ পড়েছিল প্রোটিয়ারা।

*  দক্ষিণ আফ্রিকার ফারহান বেহারদিন এ আসরে ৩৬ বল খেলে ৭৪ রান করেন; শতকরা হিসাবে যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে কম ডট বল দেন তিনি (১১.১%)।

*  ওয়ানডেতে মরনে মরকেলের ৫১ বল খেলে ৫৩ রান করেছেন কেন উইলিয়ামসন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসারের বলে কখনো আউট হননি নিউ জিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান।

*  বিশ্বকাপে এ নিয়ে সপ্তমবার মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। আগের ছয় দেখায় নিউ জিল্যান্ডের জয় চারটি। এর মধ্যে কেবল একবারই নকআউট পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল; ২০১১ সালের কোয়ার্টার-ফাইনালে জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড।

*  বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হতে ড্যানিয়েল ভেটোরির আর ১টি উইকেট দরকার। জ্যাকব ওরাম ও ভেটোরি, দুজনেরই উইকেট ৩৬টি।

* নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইডেন পার্কে ফল হওয়া সর্বশেষ চার ওয়ানডের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

* ইডেন পার্কে খেলা সর্বশেষ ১২ ওয়ানডেতে টসে হারে নিউ জিল্যান্ড। এর মধ্যে ৯ বার আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় তারা, আর এই ৯ বারে মাত্র ১ বারই জয় পায় তারা। বাকি আট ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড ৫টিতে হারে, ১টি টাই এবং ২ ম্যাচের ফল হয়নি।

* ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত টানা তিন শতক পেয়েছেন মোট সাতজন। সেমি-ফাইনালে মার্টিন গাপটিল তিন অঙ্কের রান পেলে নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা তিন শতক পাবেন তিনি। এর আগে রস টেইলর নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে টানা তিন শতকের কীর্তি গড়েন।

* আর ২ রান হলে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ও বিশ্বের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ৫শ’র বেশি রান করা ব্যাটসম্যান হবেন মার্টিন গাপটিল (৪৯৮ রান)। ২০০৭ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের স্কট স্টাইরিস ৪৯৯ রান করেন।

* এ আসরে ২৫টির বেশি বল খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শতকরা হিসেবে বেশি ‘বাউন্ডারি’ মারেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (৩৪%)।

* বিশ্বকাপের এ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির সবচেয়ে বেশি বল (৪০৪টি) করেছেন। আর স্পিনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তাহির ও নিউ জিল্যান্ডের ডেনিয়েল ভেটোরি; দুজনেরেই শিকার ১৫টি।

*  নিউ জিল্যান্ডের হয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হতে ট্রেন্ট বোল্টের আর ২ উইকেট দরকার। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২১ উইকেট নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন জিওফ অ্যলোট।

* দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মিলিত ওয়ানডে শতকের সংখ্যা ৪০টি। অন্যদিকে, নিউ জিল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশের খেলোয়াড়দের মোট শতকের সংখ্যা ৩৪টি।

* ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত ৫০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাতে নিউ জিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনের দরকার আর ৩ উইকেট। ৪০-এর বেশি ওডিআই উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে অ্যান্ডারসনের স্ট্রাইক রেট চতুর্থ সেরা।

* এই বিশ্বকাপে বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে নিউ জিল্যান্ডের রান রেট সবার সেরা; ওভারপ্রতি ৭.৫৪ করে রান করেছে দলটি। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় (৬.১৬) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা পঞ্চম (৪.৯৫) স্থানে রয়েছে।

মুখোমুখি

 

নিউ জিল্যান্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা

ম্যাচ

৬১

৬১

জয়

২০

৩৬

হার

৩৬

২০

টাই

পরিত্যক্ত

জয়%

৩৬%

৬৪%

বিশ্বকাপে মুখোমুখি

 

নিউ জিল্যান্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা

ম্যাচ

জয়

হার

টাই

পরিত্যক্ত

জয়%

৬৭%

৩৩%