ম্যাচের আগের দিন শ্রক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের বোলিং সত্যি ভালো হচ্ছে। যে কোনো দলের বিপক্ষে উইকেট নিতে পারার মতো বোলার আছে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। তাই দেখা যাক (কী হয়)।”
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারে পাকিস্তান। এরপর অবশ্য জিম্বাবুয়ে আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জেতে তারা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৩৫ রানে করার পরও ২০ রানে জেতাটাই হয়ত বোলারদের ওপর আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে মিসবাহর।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার খেলেছে পাকিস্তান। এই ম্যাচের আগে মিসবাহকে এটিও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
“অতীতে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছি। এই ছেলেরা (বোলাররা) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অনেক খেলেছে এবং তাদের ব্যাটসম্যানরা কিভাবে খেলে তা জানে। তাদের পারফরম্যান্স (পাকিস্তান বোলারদের) সত্যি খুব ভালো।”
সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন মিসবাহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেলে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে ৬ পয়েন্ট হবে তাদের। এরপরও নকআউটে যাওয়া নিয়ে সংশয় থাকবে এশিয়ার দেশটির।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৪ ম্যাচ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৪। তৃতীয় স্থানে আছে তারা। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পুল ‘বি’-এর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৩ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ৪, পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা। আর ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে এরপরই আছে জিম্বাবুয়ে।