রেকর্ড গড়া তামিমের ৫ রানের আক্ষেপ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেও খানিকটা হতাশ তামিম ইকবাল। মাত্র ৫ রানের জন্য কাঙ্খিত শতক পাননি উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2015, 10:28 AM
Updated : 5 March 2015, 11:24 AM

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তামিম জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শতক করতে চান তিনি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৬ উইকেটে জেতা ম্যাচে সেই স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, “(শতক না পেয়ে) অবশ্যই আমি হতাশ। তবে যেভাবে ব্যাটিং করেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে পারিনি, মানসিকভাবে আমি খুব চাপে ছিলাম। দলকে জিততে সহায়তা করেছি, এটা দারুণ সন্তুষ্টির। একশ' হলে অনেক বেশি সন্তুষ্ট হতাম।”

হাঁটুর চোট কাটিয়ে ফিরলেও রানের দেখা পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৯ রান করার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি আউট হন শূন্য রানে।

রান না পাওয়ায় ভীষণ চাপে ছিলেন দেশসেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। সেই চাপ কাটিয়ে স্বরূপে ফিরেছেন দারুণ এক ইনিংস খেলে।

সমালোচনায় কোনো আপত্তি নেই তামিমের। তবে একটু ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সমালোচনা হবেই। তবে উনারা খারাপ সময়ে যদি আমাকে সহায়তা করে তাহলে বেশি ভালো হয়।”

শেষ পর্যন্ত নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে না পারলেও বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন তামিম। ১০০ বলে ৯৫ রান করা তামিমের ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও ১টি ছক্কায়।

বিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল আশরাফুলের।  ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৭ রান করেছিলেন তিনি।

তামিম জানান, বিশাল লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামার আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাকে সময় নিয়ে শট খেলার কথা বলেছিলেন।

“মাশরাফি ভাই বলেছিলেন, নেমেই মারতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমি যদি ৬০/৭০ রান করি, তাহলেই নাকি আমরা জিতব। খারাপ সময়ে সমর্থন দেয়ায় দলের সবাইকে ধন্যবাদ।”

এই ইনিংস খেলার পথে সাকিবের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ১৩৯ রানের জুটি উপহার দেন তামিম। বিশ্বকাপে যে কোনো উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের বড় জুটিটি ছিল মুশফিক ও সাকিবের। এবারের আসরেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১৪ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুই জন।