নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কাছে ছয় উইকেটে হারে স্কটল্যান্ড। আর এ ম্যাচে বল হাতে ‘কৃপণ’ সাকিব ব্যাট হাতেও ৫২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। প্রতিপক্ষ দলের এই অলরাউন্ডারকে তাই আলাদাভাবে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় প্রশংসা করেন মমসেন।
“অবশ্যই তারা সাকিবের ওপর নির্ভর করতে পারে। আজ সে দেখিয়েছে, সে ইনিংসের শুরু, মাঝে এবং শেষেও বোলিং করতে পারে। আমাদের আটকে রাখতে সে ভালো বোলিং করেছে।”
স্কটল্যান্ডের ৩১৮ রান তোলা ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সাত বোলার ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে সাকিবই কেবল ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন এবং বাঁ-হাতি এই স্পিনারের ইকোনোমি রেটও (৪.৬০) ছিল সবচেয়ে ভালো।
নেলসনের ব্যাটিং উইকেটে সাত ওভারে ৪৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। অনিয়মিত স্পিনার নাসির হোসেনও দুই উইকেট নেন। বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে ভারসাম্যপূর্ণ বলে জানান মমসেন।
“(বাংলাদেশের) পূর্ণ স্পিন আক্রমণ বা পূর্ণ পেস আক্রমণের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, আজ তাদের আক্রমণে চমৎকার ভারসাম্য ছিল। তাদের কিছু সমীহ করার মতো পার্ট-টাইম স্পিনারও আছে।”
প্রথমবারের মতো তিনশ' রান পেরুনো স্কোর গড়েও হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় অভিজ্ঞতার ঘাটতির কথা বলেন মমসেন। অভিজ্ঞতার পাল্লায় এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রশংসাও করেন স্কটিশ অধিনায়ক।
“হ্যাঁ, বিশেষ করে আফগানিস্তান ম্যাচের পর এ হারে অবশ্যই হতাশ। কিন্তু কৃতিত্ব বাংলাদেশের, যেভাবে তাদের ব্যাটসম্যানরা খেলেছে এবং রান তাড়া করেছে। আমি মনে করি, তারা (বাংলাদেশ) খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।”
হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকেও কিছু পাওয়ার কথাও বলেছেন মমসেন। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক ম্যাচ সেরা ইনিংস খেলা কাইল কোয়েটজারের প্রশংসা করতে ভোলেননি। মমসেন আরো জানান, হারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘একটা দল’ হয়ে খেলার গর্বও আছে তার।