টিভির পর্দায় বাংলাদেশের দর্শকদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সরাসরি সম্প্রচার দেখা শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। ৬০ ওভারে ১৮৩ রানের মামুলি সঞ্চয় নিয়েই ও.ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ভারত।
এবার একাদশ বিশ্বকাপে যেরকম রানের বন্যা বইতে দেখছি, তাতে পূর্বের সর্বোচ্চ রানের সকল রেকর্ডই যে ভঙ্গ হবে -- সেটা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়। তার জন্য ক্রিকেট-বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না।
ইতিমধ্যেই ক্রিস গেইল বিশ্বকাপে ২১৫ রানের ব্যক্তিগত হিমালয় গড়েছেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪১৮ রান তুলে বারমুডার বিরুদ্ধে ভারতের তোলা ৪১৩ রানের রেকর্ড ভেঙেছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া ৪০০ রানের দেয়াল টপকেছে।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩১০ রান তুলেও ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
সুতরাং এবারের বিশ্বকাপে ৩০০ রান মোটেও উইনিং রান নয় আর।
বাংলাদেশ মেলবোর্নের বড়-মাঠে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ২৪০ রান তুলেছে। গত বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ২৯৫ রান তুলেছিল। আমি নিশ্চিত নেলসনের ছোট মাঠে ৩০০ রান বাংলাদেশের জন্য কোনো ব্যাপার না।
স্মরণ রাখতে হবে সর্বদা এই তথ্যটি যে, গত বিশ্বকাপে আমরা তিন-ল্যান্ডের বিরুদ্ধেই জিতেছিলাম। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঢাকায় এবং ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে।
এবারও আমাদের সামনে পড়েছে- তিন ল্যান্ড। খুব খেয়াল কইরা।
আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধ বাংলাদেশের জয়টা আমি দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি।
দিলশানের কাছে বিশ্বসেরা অল রাউন্ডের মুকুট হারানো সাকিব আজ নেলসনের মাঠে ব্যাঘ্রগর্জণে জ্বলে উঠবেন বলেই বিশ্বাস করি।
টেস্টফ্রেন্ডলি মোমিনুলের পরিবর্তে নাসির এই বিশ্বকাপে অধিক কার্যকর হবেন বলে ধারণা হয়।
৪ মার্চ ২০১৫
রাত ১০টা