২৫ দলের বিশ্বকাপ চান টেন্ডুলকার

বিশ্বকাপে দল সংখ্যা কমিয়ে আনার আইসিসির সিদ্ধান্তকে ক্রিকেটের বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে ‘পশ্চাৎমুখী পদক্ষেপ’ বলেছেন শচিন টেন্ডুলকার। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ না পাওয়াটাকেও ‘অন্যায্য’ বলে মনে করেন ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 01:04 PM
Updated : 4 March 2015, 01:04 PM

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপের দূত হিসেবে আইসিসির সঙ্গে বর্তমানে কাজ করছেন শচিন। বুধবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে ২৫ দল নিয়ে পরের বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে মত দেন তিনি।

টেস্ট ও ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান ও শতকের মালিক শচিন ক্রিকেটের পূর্ণ সদস্য দেশগুলোকে তাদের ‘এ’ দলকে নিয়মিত সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে খেলানোর আহ্বান জানান।

“আমি জানতে পারলাম, পরের বিশ্বকাপ ১০ দল নিয়ে হবে, যেটা একটু হতাশার। কেননা, একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি চাই খেলাটার যতটা সম্ভব বিশ্বায়ন হোক এবং আমার মতে এটা (১০ দলের বিশ্বকাপ) পশ্চাৎমুখী পদক্ষেপ।”

“পিছিয়ে থাকা দলগুলোকে অনুপ্রেরণা জোগানোর পথ আমাদের বের করতে হবে”, যোগ করেন ভারতের সাবেক এই ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য দল সংখ্যা ১০-এ নামিয়ে আনার কথা বলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।

বিশ্বকাপের এ আসরে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি মতো শ্বাসরুদ্ধকর নাটকীয়তা ছিল ‘ছোটদের’ ম্যাচেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বড় দলকে হারিয়ে এ আসরে অঘটনের জন্ম দেয় আয়ারল্যান্ড। আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড, এই দুই সহযোগী দেশের ম্যাচেও উত্তেজনার কমতি ছিল না।

ছোট দেশগুলো এই পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ টেনে শচিন বলেন, “প্রতিটি বিশ্বকাপে ছোট দল থাকে এবং তারা বড় দলগুলোকে বিস্মিত করে। নিজেদের মেধা মেলে ধরার ন্যায্য সুযোগ পেলে তারা এটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারবে।”

২০১১ বিশ্বকাপের পর আয়ারল্যান্ড আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে মাত্র ১১টি ওয়ানডে খেলেছে। আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের মতো স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক প্রেস্টন মমসেনও দাবি তুলেছেন, তাদের জন্য ‘সমান সুযোগ” দেওয়ার।

শচিন জানান, তার বিশ্বাস যদি সহযোগী দেশগুলো উন্নতি করে একটা পর্যায়ে  ধারাবাহিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে না পারে, তাহলে বৈশ্বিক সমর্থক বাড়বে না। এটা বাড়াতে হলে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর নিয়মিত খেলা নিশ্চিত করতে হবে।

“কেন অস্ট্রেলিয়া এ, ইংল্যান্ড এ, নিউ জিল্যান্ড এ, দক্ষিণ আফ্রিকা এ, নিউ জিল্যান্ড এ, ভারত এ, -সবাই এই দেশগুলো (সহযোগী সদস্য) সফরে যায় না এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত খেলে না। এবং দেখুন, কেবল ১৪ দল নয়, কিভাবে আমরা ২৫ দল পরের বিশ্বকাপে খেলাতে পারি?”

“এটা কেবল শীর্ষ ছয় বা সাত দল সম্পর্কিত নয়। যদি আমরা এই খেলাটির বিশ্বায়ন চাই, তাহলে আমাদেরকে আরো বেশি মানুষের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে।”

“তো আমি বলব, এটা এমন কিছু, যেটা আইসিসির দেখার দরকার এবং আমি আশা করি তারা এটা দেখবে”, যোগ করেন তিনি।