স্কটিশদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের রসদ চায় বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে আত্মবিশ্বাস খানিকটা হলেও কমেছে বাংলাদেশের। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে দলের আত্মবিশ্বাস আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় চায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 07:10 AM
Updated : 4 March 2015, 07:11 AM

বৃহস্পতিবার নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আর আগামী সোমবার অ্যাডিলেইডে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।

তিন ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত এই সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পয়েন্ট চাই মাশরাফিদের।

“স্কটল্যান্ড ম্যাচে জিতলে আমরা দুটি সুযোগ পাবো। ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ পর্যন্ত সুযোগ থাকবে। স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে গেলে আমাদের আর একটিই সুযোগ থাকবে।”

কী হলে কী হবে, এই সব হিসাব-নিকাশ আপাতত মাথায় রাখতে চান না মাশরাফি। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, তাদের ভাবনায় এখন কেবলই স্কটল্যান্ড। 

“এই ম্যাচের দিকে মনোযোগ দেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এই ম্যাচ জেতার জন্য, যতটুকু সম্ভব ততটুকুই করা উচিত। এই ম্যাচ জিতলে আমরা পয়েন্ট পাব, আর ছেলেরাও আত্মবিশ্বাসী হবে। জয়ের বিকল্প তো কিছু নাই, আর আত্মবিশ্বাস জয় দিয়েই বেশি আসে।”

শ্রীলঙ্কার কাছে ৯২ রানের হতাশা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান জানিয়ে অধিনায়ক বলেন, “আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। শেষ ম্যাচ আমরা হেরেছি, তাতে আত্মবিশ্বাস একটু কমেছে। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়ার এটা দারুণ একটা সুযোগ।”

মাশরাফি মনে করেন, কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পথটা কঠিন না বাংলাদেশের।

“আমাদের কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। আর ছেলেরা তা করতে উন্মুখ হয়ে আছে। স্কটল্যান্ড ম্যাচে ভালো করতে পারলে ইংল্যান্ড ম্যাচের আত্মবিশ্বাস নিতে পারবো আমরা।”

চার ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হারা ইংল্যান্ডের প্রতি অবশ্য সমীহ আছে মাশরাফির।

“এখনও আমি মনে করি, ইংল্যান্ড শ্রেয়তর দল। ওদেরও বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে। তবে আপাতত স্কটল্যান্ড ম্যাচ আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচ নিয়ে এর পরে ভাবব।”