ওয়ানডের সেরা এই টুর্নামেন্টে রানের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে ভারত বারমুডাকে এবং এবারের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৭ রানে হারায়।
ম্যাচ সেরা ওয়ার্নারের শতক আর স্টিভেন স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের অর্ধশতকে ৬ উইকেটে ৪১৭ রান করে আগের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ১ উইকেটে হারা অস্ট্রেলিয়া। ২০০৭ এর আসরে বারমুডার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১৩ রান করে আগের রেকর্ড গড়েছিল ভারত।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যের ধারে কাছে যেতে পারেনি আফগানিস্তান। ৩৭ ওভার ৩ বলে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা এড়াতে পারেনি তারা।
এই জয় আবার ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। তাদের আগের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২৫৬ রানের; ২০০৩ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে।
বুধবার পার্থের ওয়াকায় বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি আফগানিস্তান।
সর্বোচ্চ ৪৮ রানের জুটি গড়েন সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ও নওরোজ মঙ্গল। ৯৪ রানে এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে বড় জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
সামিউল্লাহ, মঙ্গল ও মোহাম্মদ নবির দ্রুত বিদায়ের দলকে দেড়শ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান নাজিবুল্লাহ জাদরান। ২টি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মঙ্গল।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাজিবুল্লাহর বিদায়ের পর আর বেশিদূর এগোয়নি আফগানদের ইনিংস।
তবে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করার ওয়ার্নার ও স্মিথ। ৩৪.৩ ওভারে ২৬০ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে। যে কোনো উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়ার পথে চতুর্থ শতক তুলে নেন ওয়ার্নার।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছিলেন রিকি পন্টিং ও শেন ওয়াটসন। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের জুটি ছিল অবিচ্ছিন্ন ২৫২ রানের।
ওয়ার্নার যেখানে শেষ করেছিলেন ক্রিজে এসে ঠিক সেখানেই শুরু করেন ম্যাক্সওয়েল। বিস্ফোরক এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান স্মিথের সঙ্গে ৬৫ ও জেমস ফকনারের সঙ্গে ৪৩ রানের দুটি জুটি উপহার দেন।
অবিশ্বাস্য সব শটে ৮৮ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়েল। তার ৩৯ বলের ইনিংসটি ৭টি ছক্কা ও ৬টি চার সমৃদ্ধ। শতকের মাত্র পাঁচ রান দূরে থেকে বিদায় নেন স্মিথ। ৯৮ বলে খেলা তার ৯৫ রানের দৃঢ়তাভরা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ১টি ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৪১৭/৬ (ওয়ার্নার ১৭৮, ফিঞ্চ ৪, স্মিথ ৯৫, ম্যাক্সওয়েল ৮৮, ফকনার ৭, মার্শ ৮, হ্যাডিন ২০*; শাপুর ২/৮৯, দৌলত ২/১০১, মঙ্গল ১/১৪, হামিদ ১/৭০)
আফগানিস্তান: ৩৭.৩ ওভারে ১৪২ (আহমাদি ১৩, উসমান ১২, মঙ্গল ৩৩, আসগর ৪, সামিউল্লাহ ১৭, নবি ২, নাজিবুল্লাহ ২৪, আফসার ১০, দৌলত ০, হামিদ ৭, শাপুর ০*; জনসন ৪/২২, স্ট্যার্ক ২/১৮, হ্যাজেলউড ২/২৫, ক্লার্ক ১/১৪, ম্যাক্সওয়েল ১/২১)
ম্যাচ সেরা: ডেভিড ওয়ার্নার।