মাশরাফি বিন মর্তুজাদের জন্য আরেকটা দিক থেকেও অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও ব্রিসবেন আর নিউ জিল্যান্ডের নেলসন অন্যরকম। ক্যানবেরা আর ব্রিসবেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি, আর নেলসনে অনেক কম। নিউ জিল্যান্ডে তাই 'দেশের মাঠে' খেলার পরিবেশটা আর পাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজারা।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশিদের বাস। প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে মাঠে গিয়েছিল তারা। ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে যেন তৈরি করেছিল 'এক টুকরো বাংলাদেশ'। বৃষ্টির কারণে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি পণ্ড হয়। গ্যাবার গ্যালারিতে তবু ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
নিউ জিল্যান্ডের নেলসন ছোট শহর। ৫০ হাজারের চেয়েও কম লোকের বাস সেখানে। আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাও টেনেটুনে হয়ত ১০০ জন হবে।
নেলসনের স্যাক্সটন ওভালও ছোট মাঠ। ধারনক্ষমতা মাত্র ৫ হাজার। বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই ছোট মাঠকেই সাজানো হয়েছে। মিডিয়া সেন্টার বসানো হয়েছে অস্থায়ী স্থাপনায়।
এই মাঠেই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতে নকআউটে ওঠার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় আছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। আর স্কটল্যান্ডও নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে চায় বাংলাদেশকে হারিয়ে।
এমন একটি উত্তেজনাময় ম্যাচ নিয়ে নেলসনবাসী কতটা রোমাঞ্চ অনুভব করছে? স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, এসব নিয়ে ভাববার সময় নেই তাদের। পেশায় ট্যাক্সিচালক মাঝবয়সী নারী কেট যেমন ক্রিকেট নিয়ে একদমই ভাবেন না। বাড়ির পাশে মাঠ, সেখানে কখনো উঁকি দেন না তিনি। তার পছন্দের খেলা মোটর রেসিং।
এমনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের এসব গ্রাম এলাকায় বয়স্ক লোকজন বেশি থাকেন। ম্যাচটি নিউ জিল্যান্ডের নয় বলে এই সব বুড়োবুড়ির আগ্রহ নেই।
নেলসনে অবশ্য স্কটল্যান্ডের সমর্থক বেশি দেখা যাবে। নিউ জিল্যান্ডের এই এলাকায় স্কটিশ বংশোদ্ভুত লোক থাকেন। মাতৃভূমিকে সমর্থন করতে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ দেখতে নেলসনে যেতে পারেন তারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে অস্ট্রেলিয়ার নানা শহর থেকে ক্যানবেরায় গিয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নেলসন থেকে বিমানে ৪৫ মিনিটের দূরত্ব ক্রাইস্টচার্চের। নিউ জিল্যান্ডের এই শহরটিতে বাংলাদেশি মানুষের বাস তুলনামূলক বেশি। নেলসনে মাশরাফিদের উৎসাহ যোগাতে সেখান থেকে সমর্থক আসবেন বলেই মনে করেন অনেকে। তাও সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকের সংখ্যা দুইশর বেশি ছাড়াবে না বলেই মনে হয়।