নেলসনে ভিন্ন পরিবেশে বাংলাদেশ

চারদিকে ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলছে, কিছুটা উৎসবের আমেজও আছে। বিশ্বকাপের রঙিন সাজে সেজেছে নেলসনও। তবে বিশ্বকাপের উত্তাপটা এখানে খুব একটা নেই। বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা আর ব্রিসবেনে যেমন পরিবেশ দেখেছে, নিউ জিল্যান্ডের নেলসনে তা যেন উল্টো।

ফজলুল বারী, নেলসন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 06:07 AM
Updated : 4 March 2015, 03:33 PM

Also Read: বাংলাদেশের গুছিয়ে নেওয়ার ম্যাচ

Also Read: ‘কোনো ছাড় নয় স্কটল্যান্ডকে’

Also Read: বাংলাদেশ ম্যাচে সুযোগ হারাতে চায় না স্কটল্যান্ড

Also Read: বিশ্বমানের সাকিবে মাশরাফির ভরসা

Also Read: সাকিবদের স্পিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত স্কটল্যান্ড

Also Read: তবুও পেসারদের ওপর আস্থা মাশরাফির

Also Read: বাংলাদেশের শেষ ১০ ওভারে ঝড় তুলতে চায় স্কটল্যান্ড

Also Read: স্কটিশদের হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের রসদ চায় বাংলাদেশ

Also Read: 'স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশই শেষ সুযোগ স্কটল্যান্ডের'

Also Read: নেলসনে ভিন্ন পরিবেশে বাংলাদেশ

Also Read: স্কটিশদের জার্গেনসেন-সুবিধা উড়িয়ে দিলেন সাকিব

Also Read: বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় চায় স্কটল্যান্ড

Also Read: শেষ আটে যেতে অঙ্ক কষতে চান না সাকিব

Also Read: টি-টোয়েন্টির জয় বাংলাদেশ ম্যাচে প্রেরণা স্কটিশদের

Also Read: পেসারদের দায়িত্ব নিতে বললেন সাকিব

Also Read: ‘মুখিয়ে আছে মাশরাফিরা’

Also Read: ফিল্ডিং নিয়ে মাশরাফিদের সতর্ক করলেন কোচ

Also Read: স্পিনে স্কটল্যান্ডের ‘দুর্বলতা’ কাজে লাগাতে চান সাব্বির

Also Read: নেলসনে গতি ঝড় তুলতে চায় বাংলাদেশ পেসাররা

Also Read: বড় ইনিংস খেলতে চান সাব্বির

মাশরাফি বিন মর্তুজাদের জন্য আরেকটা দিক থেকেও অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও ব্রিসবেন আর নিউ জিল্যান্ডের নেলসন অন্যরকম। ক্যানবেরা আর ব্রিসবেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি, আর নেলসনে অনেক কম। নিউ জিল্যান্ডে তাই 'দেশের মাঠে' খেলার পরিবেশটা আর পাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজারা।

অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশিদের বাস। প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে মাঠে গিয়েছিল তারা। ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে যেন তৈরি করেছিল 'এক টুকরো বাংলাদেশ'। বৃষ্টির কারণে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি পণ্ড হয়। গ্যাবার গ্যালারিতে তবু ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

নিউ জিল্যান্ডের নেলসন ছোট শহর। ৫০ হাজারের চেয়েও কম লোকের বাস সেখানে। আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাও টেনেটুনে হয়ত ১০০ জন হবে।

নেলসনের স্যাক্সটন ওভালও ছোট মাঠ। ধারনক্ষমতা মাত্র ৫ হাজার। বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই ছোট মাঠকেই সাজানো হয়েছে। মিডিয়া সেন্টার বসানো হয়েছে অস্থায়ী স্থাপনায়।

এই মাঠেই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতে নকআউটে ওঠার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় আছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। আর স্কটল্যান্ডও নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে চায় বাংলাদেশকে হারিয়ে।

এমন একটি উত্তেজনাময় ম্যাচ নিয়ে নেলসনবাসী কতটা রোমাঞ্চ অনুভব করছে? স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, এসব নিয়ে ভাববার সময় নেই তাদের। পেশায় ট্যাক্সিচালক মাঝবয়সী নারী কেট যেমন ক্রিকেট নিয়ে একদমই ভাবেন না। বাড়ির পাশে মাঠ, সেখানে কখনো উঁকি দেন না তিনি। তার পছন্দের খেলা মোটর রেসিং।

এমনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের এসব গ্রাম এলাকায় বয়স্ক লোকজন বেশি থাকেন। ম্যাচটি নিউ জিল্যান্ডের নয় বলে এই সব বুড়োবুড়ির আগ্রহ নেই।

নেলসনে অবশ্য স্কটল্যান্ডের সমর্থক বেশি দেখা যাবে। নিউ জিল্যান্ডের এই এলাকায় স্কটিশ বংশোদ্ভুত লোক থাকেন। মাতৃভূমিকে সমর্থন করতে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ দেখতে নেলসনে যেতে পারেন তারা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে অস্ট্রেলিয়ার নানা শহর থেকে ক্যানবেরায় গিয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নেলসন থেকে বিমানে ৪৫ মিনিটের দূরত্ব ক্রাইস্টচার্চের। নিউ জিল্যান্ডের এই শহরটিতে বাংলাদেশি মানুষের বাস তুলনামূলক বেশি। নেলসনে মাশরাফিদের উৎসাহ যোগাতে সেখান থেকে সমর্থক আসবেন বলেই মনে করেন অনেকে। তাও সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকের সংখ্যা দুইশর বেশি ছাড়াবে না বলেই মনে হয়।