আয়ারল্যান্ডের ডি ভিলিয়ার্স পরীক্ষা

তারকাদ্যুতির পার্থক্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য আর শক্তিমত্তা-সব দিক থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা আয়ারল্যান্ডের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। তবু এই দুই দলের ম্যাচটি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠছে। চারদিকে গুঞ্জন-বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ খেলে এখনো অপরাজিত আইরিশরা কি এবি ডি ভিলিয়ার্স পরীক্ষা দিতে গিয়েই বিশ্বকাপের আসল আঁচটা টের পাবে?

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2015, 01:00 PM
Updated : 2 March 2015, 01:00 PM

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায়।

ম্যাচের আগে দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেই ঘুরেফিরে আসে এবি ডি ভিলিয়ার্সের নাম। বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৬ বলে অপরাজিত ১৬২ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগে এই একই দলের বিপক্ষে ৩১ বলে শতক করে দ্রুততম শতকের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন তিনি।

এর সঙ্গে আরও একটা বিষয় মেলাতে শুরু করেছে ক্রিকেট অনুসারীরা। আয়ারল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ভেন্যু ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রান করার পথে বিশ্বকাপে প্রথম দ্বিশতকের কীর্তি গড়েন ক্রিস গেইল।

রান ওঠার ভেন্যু আর ডি ভিলিয়ার্সের ফর্ম; দুটো এক সুতোয় গেথে অনেকেই এই ম্যাচটিকে বলছেন-আয়ারল্যান্ড বনাম ডি ভিলিয়ার্স। স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের কাছেও প্রশ্নটি করা হয়।

পোর্টারফিল্ড অবশ্য ডি ভিলিয়ার্সকে ভয় না পাওয়ার কথাই বলেন।

“আমরা আগেও অসাধারণ লাইনআপের বিপক্ষে খেলেছি এবং ছেলেরা খুব ভালো করেছে। আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমার কোনো সন্দেহই নেই যে, ছেলেরা কালকের জন্য প্রস্তুত। আমাদের সামনে এবি (ডি ভিলিয়ার্স) হাশিম (আমলা) বা তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপের কে এল, তাতে কিছু যায় আসে না।”

দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কাছে ডি ভিলিয়ার্স অবশ্য বড় এক ভরসার নাম। সংবাদ সম্মেলনে আসা অলরাউন্ডার ফারহান বেহারদিনও সেটাই বলেন।

“আমার কাছে, বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে সে।”

এই ম্যাচে যে দলই জিতবে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথটা তাদেরই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর এ ক্ষেত্রে ক্রিকেট পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক, সবাই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই এগিয়ে রাখছে।

টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিটদের কাছে হেরে যাওয়াটা আয়ারল্যান্ডের জন্য কোনো বিপর্যয় হবে না। আর জিতে গেলে সেটা হবে বিশ্বকাপের বড় এক অঘটন। এই অঘটন ঘটাতে পারলে শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে টুর্নামেন্টে নিউ জিল্যান্ড আর ভারতের সঙ্গে একমাত্র অপরাজিত হয়ে থাকার কৃতিত্ব ধরে রাখবে তারা।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী অবস্থায়ই আছে আয়ারল্যান্ড। সবশেষ খেলা ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জিতেছে তারা। এ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও তাদের চেয়ে পিছিয়ে। সবশেষ খেলা ৫ ম্যাচে তিনটিতে জয়, আর দুটিতে হার ডি ভিলিয়ার্সের দলের।