বিকেলের কলাম: প্রস্তুতিতে নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড দ্বৈরথে ফেভারিট বেছে নেওয়া মুশকিল। সাবেক অসি পেসার অ্যান্ডি বিকেল অমন আলাদা করে কারো কথা বলেননি ঠিক। তবে নিউ জিল্যান্ডে খেলা হবে বলে তারা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে মনে করেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2015, 05:26 PM
Updated : 27 Feb 2015, 12:51 PM

শনিবার ইডেন পার্কে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড, যে ম্যাচের রোমাঞ্চ এখন সর্বত্র। বিশ্বকাপে এই দুই সহ-আয়োজকের শুরুটা হয়েছে দারুণ। আর প্রতিবেশী দেশ দুটি যে কোনো খেলাতে মুখোমুখি হলেই সেটি নিয়ে আগ্রহ থাকে ব্যাপক। এবার ক্রিকেটের দ্বৈরথে রোমাঞ্চের আবহের অন্য এক কারণও রয়েছে। দল দুটি যেমন খেলছে, তাতে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের এই লড়াই মার্চের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফাইনালের মহড়া বলেই যে মনে করছেন অনেকে।

আর দুটি দলই তো মনে করে, স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দুই চ্যাম্পিয়নের কথা একবার মনে করা যাক। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা ও ২০১১ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয় সেই সৌভাগ্য। ওই দুই দলের ক্রিকেটারদের জন্য সেটি নিঃসন্দেহে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা। বিশাল ব্যাপার স্বাগতিক দেশের সবার জন্যও। এমনকি যারা ক্রিকেট তেমনভাবে পছন্দ করে না, তারাও নিজ দেশের এমন সাফল্যে নিজেদের সম্পৃক্ত মনে করে।

আমি নিশ্চিত, নিউ জিল্যান্ড রাগবি দলের সমর্থকরা এই মুহূর্তে তাদের ‘ছোট্ট’ ক্রিকেট দলকে ঘিরে রোমাঞ্চিত হচ্ছে। কয়েক মাস আগে থেকে নিউ জিল্যান্ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আইসিসি। এতে পুরো দেশেই আগ্রহের পারদ বেড়েছে প্রবলভাবে। এরপর বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতেই নিজেদের দল যখন দুর্দান্ত পারফর্ম করা শুরু করল, তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে গেল ব্যাপক সমর্থন। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাদের সবার মুখিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক।

শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ান দলকে তাই খেলতে হবে স্বাগতিক দর্শকদের পাগলপারা সমর্থনের সামনে। রাগবির ‘অল ব্ল্যাক’ সমর্থকরা এদিন আসবে ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিতে। এমন প্রতিকূল