ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটসম্যানই আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র একটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
তিলকারত্নে দিলশানের সঙ্গে ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন লাহিরু থিরিমান্নে। অথচ শূন্য রানে ভাঙতে পারতো এই জুটি।
নবম ওভারে আবার বেঁচে যান থিরিমান্নে। এবারও মাশরাফির বলে জীবন পান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট ছুয়ে বল চলে যায় স্লিপ ও উইকেটের মাঝ দিয়ে। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম ও এনামুলের কেউই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি।
এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি থিরিমান্নে। যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় সুযোগটি হারান তিনি।
অর্ধশতক করে রুবেল হোসেনের বলে তাসকিন আহমেদের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন থিরিমান্নে। বোলিংয়ে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য।
নিজের দ্রুততম শতক পাওয়া সাঙ্গাকারা তখন ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন।
৪২তম ওভারে আবার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। রুবেলের বলে পয়েন্টে মুমিনুল হককে সহজ ক্যাচ দেন সাঙ্গাকারা। ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মুমিনুল, বরং ওভার থ্রো থেকে আরো তিন রান দেন তিনি। তখন ৬০ রানে ব্যাট করা সাঙ্গাকারা শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪৩তম ওভারে রান আউট করা যেত দিলশানকে। তাসকিনের লো ফুলটস বল এক্সট্রা কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু এনামুলের তৎপরতায় রান নেয়া অসম্ভব ছিল।
সে সময় দিলশান ও সাঙ্গাকারা প্রায় মাঝ ক্রিজে ছিলেন। সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ভাঙতে চেয়েছিলেন এনামুল, পারেননি তিনি। মুশফিকও এগিয়ে আসেননি।
সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ১ উইকেটে ৩৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করান তারা। শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে অপরাজিত থাকেন দিলশান।