সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিশাল বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় দিনের খেলা দেখতে আসেন সোহাগ। এই সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল আশা করছেন তিনি।
“আমি যদি পায়ের ল্যান্ডিং সমস্যা নিয়ে কাজ করতাম, তাহলে হয়তো এই সমস্যায় পড়তাম না। আজ বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যেতে পারতাম। জাতীয় দলের খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কাজ করতে পারিনি।”
জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে চেয়েছিলেন সোহাগ। কিন্তু গত শনিবার চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেয়ায় এই ম্যাচে দর্শক হয়েই থাকতে হচ্ছে তাকে।
“চেন্নাইয়ের পরীক্ষা দিতে গিয়ে শুরুতে একটু স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। সবার সঙ্গে কথা বলে সহজ হই। কার্ডিফের মতো একই ধরণের টেস্ট ছিল চেন্নাইয়ে। তবে ওভার একটু কমিয়ে বোলিং করানো হয়েছে।”
টেস্টের ফলাফল আসার আগে জাতীয় লিগে মনোযোগ দিতে চান সোহাগ। নেতিবাচক কিছু ভাবছেন না এই অফস্পিনার।
“আমার কনুই সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রির মতো বাঁকতো। এখন আমার নিজের কাছে মনে হয় সর্বোচ্চ ৫-৬ ডিগ্রি বাঁকে। এটুকুও না থাকলে হয়তোবা স্পিন করানো খুব কঠিন হয়ে যাবে। নেতিবাচক কিছু ভাবছি না। নেতিবাচক কিছু এলে করার কিছু থাকবে না।”
চেন্নাইয়ে ব্যর্থ হলে অন্তত এক বছর আর পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে না পারা সোহাগ।
গত বছর বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়াররা সোহাগের বোলিং সন্দেহজনক বলার পর নিয়ম অনুযায়ী কার্ডিফের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ল্যাবে তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা হয়।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোহাগের সব ধরণের ডেলিভারিতেই কনুই নির্ধারিত সীমা ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বেঁকে যায়। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।