পরীক্ষায় পাসের আশা আজমলের

নতুন বোলিং অ্যাকশনের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা দিয়েছেন সাইদ আজমল। পাকিস্তানের এই অফস্পিনারের বিশ্বাস, এবার তিনি উতরে যাবেন। এমনকি তার দুসরাও বৈধতা পাবে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2015, 02:39 PM
Updated : 25 Jan 2015, 02:39 PM

শনিবার চেন্নাইয়ে আইসিসি অনুমোদিত পরীক্ষাগারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ আজমল।

পরীক্ষা শেষে আজমল ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকাকে বলেন, “আমি মনে করি, যারা পরীক্ষা নিয়েছে তারা আমার অ্যাকশন নিয়ে খুশি। আমি আশাবাদী, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তাদের ওপরই নির্ভর করে।”

অগাস্ট মাসে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট চলার সময় আম্পায়াররা ৩৬ বছর বয়সী এই অফ-স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

এরপর সেপ্টেম্বরে ব্রিসবেনে আজমলের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষার পর দেখা যায় বল ডেলিভারি করার সময় তার কুনুই নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে যায়। শুধু দুসরা নয়, সব ধরণের বোলিং করার সময়ই এমনটা হয়। তখন তাকে বোলিং করার থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

কারো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়াররা সন্দেহ প্রকাশ করলে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে ওই বোলারকে তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা করাতে হয়। ওই শর্ত পূরণ করতেই ব্রিসবেনে আজমলকে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান।

আইসিসির অনুমোদিত বায়ো-মেকানিক্স বিশেষজ্ঞরা ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারে আজমলের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা করেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে গত ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের দল থেকে সরে দাঁড়ান আজমল।

বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন আজমল।

৩৫টি টেস্ট ও ১১১টি ওয়ানডে খেলা আজমলের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আগেও আম্পায়াররা রিপোর্ট করেছিলেন। ২০০৯ সালের এপ্রিলে তার দুসরা ডেলিভারি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আম্পায়াররা। অবশ্য পরের মাসেই পরীক্ষায় তার অ্যাকশন সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল।