শতভাগ ফিট হলেই খেলবেন তামিম

চোট নিয়ে খেলে দলের বোঝা হতে চান না তামিম ইকবাল। এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, শতভাগ ফিট হলেই বিশ্বকাপে খেলবেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2015, 11:52 AM
Updated : 24 Jan 2015, 11:52 AM

বাঁ পায়ের হাঁটুতে গত ২৯ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার হয় তামিমের। এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন তিনি। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, বিশ্বকাপের আগেই সম্পূর্ণ ফিট হবেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে জানান, শতভাগ ফিট না হলে খেলবেন না তামিম।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিম বলেন, “আনফিট খেলোয়াড় খেলুক কেউই চাইবে না। বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টে তো অবশ্যই না। শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিংও খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলের জন্য বোঝা হতে চাই না। আশা করি, শতভাগ ফিট হয়েই খেলবো।”

অস্ত্রোপচারের পর অস্ট্রেলিযায় দুটি ইনজেকশন নিয়েছিলেন তামিম। এবার গিয়ে মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ইনজেকশনটি নেবেন তিনি।

“শেষ ইনজেকশনটির পর একজন ফিজিও এক সপ্তাহের নির্দেশনা দেবেন। আশা করি, ২৯ তারিখ দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবো। পুনর্বাসনের মধ্যেই আমাকে থাকতে হবে, এমনকি টুর্নামেন্ট চলার সময়ও।”

শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন মাশরাফি বিন মুর্তজারা। সেখানে দুই সপ্তাহের একটি ক্যাম্প করবেন তারা। দলের সঙ্গে শনিবার যাওয়া হচ্ছে না তামিমের।

তামিম মনে করেন, বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ব্রিসবেনের ক্যাম্পটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে আমরা ব্রিসবেনের মতো একই রকম উইকেটে খেলবো। এই দিনগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারলে আমার সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”

১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। তামিম আশাবাদী তার আগে অন্তত একটি প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পারবেন তিনি।

“আমার অন্তত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা উচিত। ব্রিসবেনে অন্তত একটা প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার চেষ্টা করবো। এটা নির্ভর করবে আমার স্ট্রেংথ ও হাঁটুর অবস্থার ওপর।”

২০০৭ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে কোনো লক্ষ্য ছিল না তামিমের। ২০১১ সালে দেশের মাটিতে খেলা বিশ্বকাপে একটি লক্ষ্য ঠিক করলেও তা পূরণ করতে পারেননি। এবার স্মরণীয় কিছু করতে চান তিনি।

“আমার ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের উইকেটের সঙ্গে মানানসই। এশিয়ার দলগুলো ওখানে গিয়ে সব সময় প্রচুর রান করে। স্ট্রোক মেকারদের সেখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। প্রথম ১০ ওভার দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করবো, এরপর যতটা সম্ভব রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করবো।”