‘গেরো’ খোলেনি ‘নির্দোষ’ শ্রীনিবাসনের

আইপিএলের দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন এন শ্রীনিবাসন। তবে বোর্ডের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক থেকে তাকে সরে আসতে হবে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2015, 04:09 PM
Updated : 22 Jan 2015, 04:09 PM

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শ্রীনিবাসনের সামনে এই শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।

২০১৩ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের স্পট ফিক্সিংয়ের বিতর্ক ওঠার ১৮ মাস পর চূড়ান্ত রায় দিল দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

এই রায়ে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিসিসিআইকে নির্বাচন করার সময়সীমাও বেধে দিয়েছে আদালত। তাই শ্রীনিবাসনকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে-তিনি বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান, নাকি আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক রাখতে চান।

২০১১ সাল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু আইপিএল দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে চেন্নাই সুপার কিংসের ‘প্রিন্সিপাল’ ও শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পন গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর ফলে তখন বিসিসিআইয়ের এক জরুরি সভায় শ্রীনিবাসনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

কিছুদিন পরই জামিনে মুক্তি পান মায়াপ্পন। শ্রীনিবাসনও বোর্ড প্রধানের দায়িত্বে ফেরেন। তবে পরে আদালতের রায়ে আবার দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে।

এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দিল। রায়টি ঘোষণা করে টিএস ঠাকুর ও এফএমআই কলিফুল্লাহর বেঞ্চ।

এই দুজনের বেঞ্চ বিসিসিআইয়ের গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত একটি ধারা সংশোধন করারও নির্দেশ দেয়। ওই ধারা অনুযায়ী বিবিসিআইয়ের কর্মকর্তারা আইপিএল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে আর্থিকভাবে জড়িত থাকতে পারবে।

এই রায়ে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া মায়াপ্পন ও রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম মালিক রাজ কুন্দ্রাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি আদালত।

মায়প্পন ও কুন্দ্রা এবং চেন্নাই ও রাজস্থান দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য ভারতের সাবেক প্রধান বিচারপতি আরএম লোধার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। লোধার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি অশোক ভান ও আরভি রবিন্দ্রনকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ছয় মাসের সময় দেয়া হয়।

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীশান্তসহ রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অনেকের পরিচয় ফাঁস হতে থাকে।