বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফি বলেন, “ব্যাটিংয়ে মুশফিকের সামর্থ্য আছে সেরাদের কাতারে থাকার। বেশ কিছু দিন ধরে ভালো পারফর্ম করে সে একটা জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে লড়াইয়ের সামর্থ্য মুশফিকের রয়েছে।”
আর বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের বোলিংয়ে তো রীতিমত মুগ্ধ দেশসেরা পেসার মাশরাফি।
“সাকিবের বোলিংয়ের কথা অবশ্যই বলতে হয়। আমার বিশ্বাস, পৃথিবীর যে কোনো উইকেটেই সে ভাল বল করতে পারে। উইকেটে বল স্পিন করে কী না, এটা তার কাছে কোনো ব্যাপার নয়।”
অবশ্য ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, মাশরাফির কাছে দলীয় পারফরম্যান্সই আগে। তিনি বলেন, “কেউ সেরা ২০-এ না গেলেও দল ভালো অবস্থানে থাক, এটাই আমি চাই। দলকে যদি একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি সেটাই ইতিহাস হয়ে থাকবে।”
টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন সাকিব, তামিম ইকবাল ও মুশফিক। এই তিন জনের সেরাটা দেয়ার এটাই সেরা সময় কী না জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, “ওদের এখন সময়, এই পর্যায়ে ভালো করার। আশা করি, দলের যতটুকু দরকার ওরা ততটুকু দেবে। আর সেটাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
অধিনায়ক জানান, সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভূমিকায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। মাঠের ভেতরে আর বাইরে তাদের যা করণীয় তারা করবেন। কিন্তু বিশ্বকাপে ভালো ফল পেতে এগিয়ে আসতে হবে তরুণদের।
“তরুণ ক্রিকেটারদের কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা বেশি থাকে। দলে নতুন আসায় কোনো পিছুটান থাকে না। এই ধরনের মঞ্চে তারা আরও ভালো খেলতে চায়।”
মাশরাফি জানান, ২০০৭ সালে তামিম, সাকিব, মুশফিক এসেছিল; এবারো সৌম্য (সরকার), বিজয় (এনামুল হক), মুমিনুল (হক) এসেছে।
সাব্বির হোসেন, নাসির হোসেন, তাইজুল ইসলাম, আরাফাত সানি, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেনরাও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। এদের ওপরও আস্থা রাখছেন মাশরাফি।
“সবারই একটা ভালো সুযোগ, এখানে কিছু করে দেখানোর। আমি নিশ্চিত, ওরাও বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করছে।”