সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার ক্রিকেটে দুর্নীতির ঘটনা ধরা পড়েছে। গত সাড়ে চার বছরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট, পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ আর স্পিনার দানিশ কানেরিয়া স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
রিচার্ডসন মঙ্গলবার আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে দুর্নীতি ঠেকাতে আইসিসি প্রস্তুত।
“দুর্নীতির দিক থেকে এটা বলা নিরাপদ যে, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে আমরা বেশি তৈরি।”
রিচার্ডসন জানান, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কর্মীরা নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় পুলিশ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে। কারা দুনীর্তিবাজ এবং বিশ্বে কারা ম্যাচ পাতাতে চেষ্টা করতে পারে - এ নিয়ে আইসিসির কাছে তথ্যও বেড়েছে।
“আমরা জানি, এই লোকগুলো কোথায় আছে। আমরা শতাধিক নামের তালিকা পেয়েছি। আর এগুলো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে দেব।”
এসব আয়োজনের কথা তুলে ধরে রিচার্ডসন দাবি করেন, খেলার বাইরের কারও বিশ্বকাপের সঙ্গে যুক্ত খেলোয়াড়, আম্পায়ার বা কাউকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা করা কঠিন হবে।
অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডে হওয়া সবশেষ ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রিচার্ডসন জানান, বিশ্বকাপের আয়োজক দুই দেশে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা করাটা এখন ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচ্য হচ্ছে।