মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, ব্যক্তিগতভাবে তার লক্ষ্য অন্তত কোয়ার্টার-ফাইনাল।
“সব কিছু নির্ভর করছে প্রথম ম্যাচের ওপর। শুরুটা ভালো হলে পরের ম্যাচগুলোতে এই আত্মবিশ্বাস কাজে আসবে। কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে হলে চারটি ম্যাচ জিততে হবে। তাই নিজেদের শক্তি ও কম্বিনেশন নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।”
১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষরা হল শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও বিশ্বকাপের দুই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড।
বাংলাদেশ দলে এখন অনেক পারফরমার। তাই সতীর্থদের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই মুশফিকের।
“এক সঙ্গে পাঁচ জন পারফর্ম করতে পারলে দলের চেহারাই পাল্টে যাবে। সেক্ষেত্রে শুধু দ্বিতীয় রাউন্ড কেন, আমরা আরও দূরে যেতে পারবো। আমাদের খেলোয়াড়রা উদগ্রীব এবং ক্ষুধার্ত।”
মুশফিক মনে করেন, বিশ্বকাপে স্পিনারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশে, নিউ জিল্যান্ডে স্বাগতিকদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সিরিজে স্পিনাররা বেশ সাফল্য পাচ্ছেন। তাই বিশ্বকাপেও স্পিনারদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে বাংলাদেশের।
“আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি স্পিন। হতে পারে কোনো কোনো ম্যাচে স্পিন দিয়েই আমরা বোলিং শুরু করবো।”
২০১১ সালে বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে ৫৮ ও ৭৮ রানে অলআউটে লজ্জায় পড়েছিল বাংলাদেশ। এবারে আসরে তেমন কিছু হবে বলে মনে করেন না মুশফিক।
“জিম্বাবুয়ে সিরিজে ৮-০ ব্যবধানে জিতে সবাই উজ্জ্বীবিত। অনেকেই প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলেছে। আমার মনে হয়, মনে সাহস থাকলে ভালো ফলই পাওয়া যাবে।”
গত বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩-০ ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
মুশফিক জানান, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন কোনো চাপ তৈরি করছে না, কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।
“আমাদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। দুই সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প কাজে লাগাতে পারলে এই কন্ডিশনেও ভালো করা সম্ভব হবে।”