সাকিব, তামিম, মুশফিকের সেরা সুযোগ

টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন জনই এখন অভিজ্ঞ ও পরিণত। এবারের আসরকে তাই নিজেদের প্রমাণের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন মুশফিক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2015, 12:46 PM
Updated : 20 Jan 2015, 12:46 PM

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শেষে মুশফিক বলেন, “নিজেদের প্রমাণের এটা বড় সুযোগ। তার জন্য অনুশীলনসহ যা যা করা দরকার, সবই করছি। আশা করি, সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা ভালো করবো।”

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথম খেলেন সাকিব, তামিম ও মুশফিক। সেই আসরে ভারতকে বিদায় করে সুপার এইটে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ২০১১ সালে দেশের মাটিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে এই ত্রয়ীর ওপরই বেশি নির্ভর করেছিল দলটি। সেবার পারেননি তারা। এবারের আসরে সেই হতাশা ভুলতে চান মুশফিকরা।

দুই সতীর্থ সাকিব ও তামিমের ওপর অগাধ আস্থা মুশফিকের। তার বিশ্বাস, শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেললে বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যেও থাকতে পারেন তারা।

“আমরা এভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখন শুধু ম্যাচে বাস্তবায়ন করতে হবে। লক্ষ্য থাকবে, বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করার।”

দুই বিশ্বকাপে ১৫ ম্যাচ খেলেন মুশফিক। ১৪ ইনিংসে একটি অর্ধশতকসহ ২১.২০ গড়ে ২১২ রান করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের অপরাজিত ৫৬ এখনো তার সেরা। এই পরিসংখ্যানে খুশি নন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

“দুটি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারিনি। এবার ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। শেষ বছর যেমন খেলেছি, তার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করব। নতুন বছরটা ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে ভালো করার চেষ্টা থাকবে।”

গত বছর ১৮ ওয়ানডে খেলে ১৭ ইনিংসে একটি শতক ও ছয়টি অর্ধশতকসহ ৪৪ গড়ে ৭০৪ রান করেন মুশফিক।

“সবারই লক্ষ্য থাকে ভালো খেলা, ধারাবাহিক পারফরম করা, একশ’ করা। আমরাও সেরকম কিছু আছে। সুযোগ পেলে যেন সর্বোচ্চটা অর্জন করতে পারি; যেন দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হতে পারি।”

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান সাকিবের। ১৫ ম্যাচে ১৫ ইনিংসে তিনটি অর্ধশতকসহ ২৬.৪৬ গড়ে ৩৪৪ রান করেন তিনি। সমান ম্যাচে দুটি অর্ধশতকসহ ২১.৯৩ গড়ে ৩২৯ রান করে দুই নম্বরে আছেন তামিম।