টপঅর্ডারে শক্তি বাড়াতেই বিশ্বকাপ দলে সৌম্য

বিশ্বকাপ দলে থাকার লড়াইয়ে ফর্মের কাছে হেরে গেছে অভিজ্ঞতা। ব্যাটিং লাইনআপে টপঅর্ডারে শক্তি বাড়াতে অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকে না রেখে ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারকে দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2015, 05:30 PM
Updated : 4 Jan 2015, 05:30 PM

আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপের দলে আছেন কিছু দিন আগে শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সফরের দলে জায়গা না পাওয়া নাসির হোসেন। তবে উপেক্ষিত হন পেস-অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান দল ঘোষণার পর সৌম্য, নাসিরকে দলে নেয়া এবং ইমরুল ও জিয়ার বাদ পড়ার ব্যাখ্যা দেন ফারুক।

সৌম্যকে দলে নেয়া প্রসঙ্গে তার বিভিন্ন পজিশনে ব্যাট করার সামর্থ্যের সঙ্গে এই মুহূর্তে ভালো ফর্মে থাকা আর পেস বল করতে পারার যোগ্যতাকেই বড় করে দেখান ফারুক।

“সৌম্য কার্যকর খেলোয়াড়; দারুণ ফর্মে আছে সে। সে বোলিং করে। এক, দুই বা তিনে ব্যাটিং করতে পারে। টপঅর্ডারে আমরা এমন একজনকেই রাখতে চেয়েছি।”

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন আর উইকেটও সৌম্যকে দলে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচকদের প্রভাবিত করে।

“উইকেট দেখে কোনো ম্যাচে আমরা যদি দুজন পেসার খেলাই, তাহলে সৌম্য সেই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করবে। সেই ম্যাচে আমরা তিন স্পিনার খেলাতে পারি। মানে সাকিব এবং তার সঙ্গে আরো দুই স্পিনার।”

একটা মাত্র ওয়ানডে খেলা সৌম্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল করতে পারবে কিনা এ নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন ওঠে। ফারুক এরও ব্যাখ্যা দেন।

“সে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে একটা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে তেমন একটা সুযোগ হয়নি, কিন্তু সে রেগুলার নেটে বোলিং করে। ম্যাচেও যখন সুযোগ পায়, বল করে। কয়েকটা ম্যাচে ছয়-সাত ওভার বোলিং করেছে।”

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১৪ ইনিংসে একটি শতক ও তিনটি অর্ধশতকসহ ৩৭ গড়ে ৫১৮ রান করেন সৌম্য। এছাড়া মিডিয়াম পেসে ছয়টি উইকেটও নেন তিনি।

ইমরুলের দল থেকে বাদ পড়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন ফারুক।

“একটা কথা বুঝতে হবে আমাদের, ইমরুলের কিন্তু টেস্ট শতক আছে। কিন্তু শেষ কয়েকটা ওয়ানডে দেখেন, সেখানে সে ফর্মে নেই। লিগেও সে ফর্মে নেই।”

ফারুক মনে করেন, নাসিরকে দলে জায়গা করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স।

“আপনারা জানেন একটা ছেলে যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লম্বা সময় ধরে বাজে সময় কাটায়, আমরা তখন তাকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টায় থাকি। আপনারা যদি দেখেন, এর মধ্যে তিন-চারটা ম্যাচ জয়ী ইনিংস ও ভালো খেলেছে। অভিজ্ঞতাও ওর পক্ষে ব্যাট করেছে। আসলে নাসিরের নতুন করে কিছু প্রমাণের নেই।”

২০১১ সালের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিন ধরনের ক্রিকেটেই দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেন নাসির। কিন্তু গত বছর হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এক পর্যায়ে দল থেকেও বাদ পড়ে যান এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ভালো খেলে আবার দলে ফিরলেন নাসির। ১৫ ইনিংস খেলে একটি শতক ও চারটি অর্ধশতকসহ ৫৫০ রান করেন তিনি। ১৩টি উইকেটও নেন তিনি।

বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন জিয়া। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে দলে জায়গা হয়নি তার।

গত জুনে শেষ ওয়ানডে খেলা জিয়াউর রহমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১১ ইনিংস খেলে একটি অর্ধশতকসহ ২৩০ রান করেন। ২৮.৩৩ গড়ে ১২ উইকেট নেন তিনি।