নিউ জিল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের সিরিজ হার

শেষ ম্যাচে হেরে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ খুইয়েছে পাকিস্তান। পাঁচ ওয়ানডের সিরিজের শেষ ম্যাচে ম্যাট হেনরির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৬৮ রানে হারে স্বাগতিকরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2014, 07:03 PM
Updated : 19 Dec 2014, 07:09 PM

নিউ জিল্যান্ডের বড় জয়ে দারুণ অবদান রাখেন হেনরি। একাই পাকিস্তানের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে আউট করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ডানহাতি এই পেসার। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে উইলয়ামসন ও রস টেলসের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে চার উইকেটে ২৭৫ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ২০৭ রান তুলতেই সব উইকেট হারায় পাকিস্তান।

সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট ও ১৪৭ রানের জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে ৪ উইকেট ও ৭ রানের জয় পায় নিউ জিল্যান্ড। ফলে শুক্রবার শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের পঞ্চম ওয়ানডে হয়ে উঠেছিল সিরিজ নির্ধারক ম্যাচ।

শুরুটা ভালো না হলেও মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে নিউ জিল্যান্ড। দলীয় ২০ রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন ডিন ব্রাউনলি ও অধিনায়ক উইলিয়ামসন। দুজনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৬ রান তুলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন।

জুলফিকার বাবরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্রাউনলি সাজঘরে ফিরলেও টেলরকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তানের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলীয় সঞ্চয়ে ১১৬ রান যোগ করেন।

৪২.১ ওভারে শহিদ আফ্রিদির বলে সরফরাজ আহমেদের হাতে উইলিয়াসমন ক্যাচ দিলে ভাঙে তৃতীয় উইকেট জুটি। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের ৯৭ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো।

শেষ দিকে টেলরের সঙ্গে লুক রনকি ও টম ল্যাথাম দ্রুত রান তুললে লড়াইয়ের পুজিঁ পেয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৮৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন টেলর। আর রনকি ১২ বলে ১৬ ও ল্যাথাম ১৪ বলে ২২ রান করেন।

পাকিস্তানের পেসার ইরফান ২টি এবং জুলফিকার ও আফ্রিদি একটি করে উইকেট নেন।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচঁট খায় পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদকে হারায় তারা। প্রথম ওভারেই ম্যাট হেনরির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন জামশেদ। এরপর চতুর্থ ম্যাচে শতক করা ইউনুস খান ফিরলে শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ব্যক্তিগত ১২ রানে হেনরির বলে রনকিকে ক্যাচ দেন ইউনুস।

১২.৫ ওভারে আসাদ শফিকের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে হারিস সোহেলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন শেহজাদ। দলীয় সঞ্চয়ে ৬৯ রান যোগ করে বিপদ কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছিল এই জুটি; কিন্তু শেহজাদ হেনরির তৃতীয় শিকার হলে ফের বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ৮১ বলে দুই চারে ৫৪ রান করেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

হেনরির বোলিং তাণ্ডবের মধ্যে শেহজাদের পর কেবল হারিস অর্ধ শতক পেরুনো ইনিংস খেলতে পারে।

শেষ দিকে সরফরাজ, আফ্রিদি, আনোয়ার আলি চেষ্টা করলেও নিউ জিল্যান্ডের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে আনতে পারেননি। সরফরাজ ২৪ বলে ২৬ রান, আফ্রিদি ৯ বলে ১৩ রান করেন। এছাড়া আনোয়ার ১৪ বলে ১৮ রান তোলেন।

নিউ জিল্যান্ডের হেনরি ৫ উইকেট নেন। নাথান ম্যাককালাম ২টি উইকেট পান।