পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডেতে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবারের ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসা মাহমুদুল্লাহ বলেন, “এখন আমরা ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছি; আমরা এটাকে ৫-০ করতে চাই।”
ব্রেন্ডন টেইলর ও সলোমন মায়ারের ১০৬ রানের জুটিতে এক সময়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। জুবায়ের হোসেনের বলে মাহমুদুল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে মায়ারের বিদায়ে ভাঙে বিপজ্জনক ওই জুটি। মাহমুদু্ল্লাহ মনে করেন, এতেই ম্যাচে পিছিয়ে যায় অতিথিরা।
“খুব খুশি যে, আজকে আমরা ম্যাচটি জিততে পেরেছি। একটা সময় ওদের বেশ ভালো একটা জুটি হচ্ছিল। পর-পর দুই ওভারে দুটি উইকেট গেল। জুটিটা ভাঙার পর ওরা শেষ করতে পারেনি।”
বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে মাহমুদুল্লাহ বলেন, “আমাদের বোলাররা পাওয়ার প্লেতে খুব ভালো বোলিং করেছে। মাশরাফি ভাই ৩ ওভার বোলিং করে সে সময় মাত্র ৫ রান দিয়েছে। সাকিব অন্যদিক থেকে ভালো বোলিং করেছে। আমরা শেষ দিকে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”
অপরাজিত ৮২ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মাহমুদুল্লাহ। দলে এভাবে যতটা সম্ভব অবদান রাখতে চান তিনি।
“কখনো নায়ক ছিলাম না, হওয়ারও কোনো ইচ্ছে নেই। চেষ্টা থাকে, যতটুকু পারি দলের জন্যে অবদান রাখতে। জয়ের মধ্যে অবদান রাখতে পেরে খুব ভালো লাগে।”
ওয়ানডেতে কোনো শতক নেই মাহমুদুল্লাহর। এখন চার নম্বরে ব্যাটিং করছেন বলে শতকের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
“সাব্বির আর হাসান আউট হওয়ার পর শেষ ২-৩ ওভার ছাড়া আর মেরে খেলার কোনো চিন্তা ছিল না। সেজন্য পরে আর শতকের সুযোগ নেইনি।”
চার নম্বরে ব্যাটিং উপভোগ করেন জানিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, “আমি ক্রিজে সময় নিতে পছন্দ করি। আমি এই পজিশনে ব্যাটিং করে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছি।”