বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩১৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪৭.১ ওভারে ২৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
তিলকরত্নে দিলশান আর কৌশল পেরেরার ব্যাটে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুটা দারুণ হয়। উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান করেন ওই দুই ব্যাটসম্যান।
৭৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন পেরেরা।
সাঙ্গাকারার দ্রুত বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে মাহেলা জয়াবর্ধনের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন দিলশান।
ক্রিস ওকসের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৮৮ রান করেন দিলশান। তার ৯৮ বলের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি ১০টি চারে সাজানো।
জয়াবর্ধনে ৫৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৫ রান করেন। পরে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ২৪ বলে ৩৩ এবং আট নম্বরে নামা জিবন মেন্ডিসের ১৪ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসে স্কোর তিনশর উপরে নিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ওকস এবং জেমস ট্রেডওয়েল দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য বেশ বড় হলেও শুরুটা খারাপ ছিল না ইংলিশদের। অ্যালিস্টার কুকের সঙ্গে ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন মইন। এর মধ্যে কুকের রান মাত্র ১০।
দ্বিতীয় উইকেটে ইয়ান বেলের সঙ্গে ৫৬ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন মইন। এরপরই ধস নামে অতিথিদের ইনিংসে; ১৭ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় তারা।
দলকে ২০৩ রানে রেখে ফিরে যান মইন। জিবন মেন্ডিসের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ১১৯ রান করেন ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। ৮৭ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি।
শেষ দিকে রবি বোপারার দৃঢ়তায় জয়ের আশা কিছুটা হলেও টিকে ছিল ইংলিশদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি তারা।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬২ বলে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কায় ৬৫ রান করেন বোপারা।
৪৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন শ্রীলঙ্কার বোলার থিসারা পেরেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ৩১৭/৬ (দিলশান ৮৮, পেরেরা ৫৯, সাঙ্গাকারা ২, জয়াবর্ধনে ৫৫, ম্যাথিউস ৩৩, থিসারা ৪, থিরিমান্নে ২৭*, মেন্ডিস ৩০*; ট্রেডওয়েল ২/৫২, ওকস ২/৬৮, মঈন ১/৬৬)
ইংল্যান্ড: ৪৭.১ ওভারে ২৯২ (কুক ১০, মঈন ১১৯, বেল ৩৫, রুট ২, মর্গ্যান ০, বাটলার ২১, বোপারা ৬৫, স্টোকস ১৬, ওকস ৭, ট্রেডওয়েল ৬, গার্নি ১*; থিসারা ৩/৪৪, অজন্তা মেন্ডিস ২/৫৫, হেরাথ ২/৫৮, দিলশান ১/৩৩, জিবন মেন্ডিস ১/৩৪, প্রসাদ ১/৫১)
ম্যাচ সেরা: তিলকরত্নে দিলশান