সিরিজ জয়ের জন্য নামছে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ শিবিরে। স্বাগতিকদের সামনে এখন সিরিজ জয়ের হাতছানি। তৃতীয় ম্যাচেই সেই কাজটি শেষ করতে চায় মাশরাফি বিন মুর্তজা বাহিনী।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 03:50 PM
Updated : 25 Nov 2014, 04:22 PM

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বেলা সাড়ে বারোটায়।

এই মাঠে ওয়ানডেতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। এ বছর আট ম্যাচের সাতটিতেই হার তার বড় প্রমাণ। ভারতের বিপক্ষে অন্য ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল।

মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করার পরও জয় পায়নি বাংলাদেশ। আবার ভারতকে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে দিয়েও হারতে হয়েছিল স্বাগতিকদের।

একই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগে ভালো করার ধারাবাহিকতা দেখতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সাম্প্রতিক সময়ে মিরপুরেই তাদের ধারাবাহিকতা সবচেয়ে কম। সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশে জন্য এটাও বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

মিরপুরে বাংলাদেশ শেষ সিরিজ খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। সেই সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে বানানো হয়েছিল পেস সহায়ক উইকেটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম টেস্টেও পেসারদের জন্য বেশ সহায়তা ছিল।

তৃতীয় ওয়ানডেতে পিচে পেস ও বাউন্স আশা করছে জিম্বাবুয়ে। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন, পিচে স্পিনারদের জন্যই বেশি সহায়তা থাকবে।

“চট্টগ্রামে সব সময়ই স্পিনাররা সহায়তা পেয়ে এসেছে। কিন্তু আমার মনে হয়, মিরপুরের উইকেটও স্পিনারদের জন্য সহায়ক হয়। বেশ টার্ন থাকে, উঁচু-নিচু বাউন্স বেশি করে। সেক্ষেত্রে স্পিনারদের ভূমিকাটাই বেশি থাকবে।”

স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করা হলেও পেসারদেরও কিছু কাজ থাকে। শুরুতে উইকেট নেয়া বা জুটি ভাঙার মতো কাজগুলো করতে হয় পেসারদের। মাশরাফি জানান, পেসাররা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারলে, স্পিনাররা আরো আক্রমণাত্মক হতে পারেন। এটা তাদের বেশি উইকেট পেতেও সহায়তা করে।

চট্টগ্রামে শিশিরের কথা বিবেচনা করে তিন পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকাতেও তিন পেসার খেলানোর সম্ভাবনা বেশি। আল-আমিন হোসেনকে বাদ দেয়ায়, তার জায়গায় দলে ফিরতে পারেন আরেক পেসার শফিউল ইসলাম।

“শেষ ম্যাচে (মাহমুদু্ল্লাহ) রিয়াদ বল করতে পারছিল না, (সাব্বির রহমান) রুমানও বল ধরতে পারছিল না। তখন রুবেল, আল-আমিনকে দিয়ে বল করানো হয়েছে। এটা চিন্তা করে তিন পেসার খেলানো হয়েছে, নয়তো দুই জন পেসারই খেলত। ঢাকার অবস্থা কেমন, চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

বুধবারই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মাশরাফি।

“আমরা প্রত্যেকেটি ম্যাচ জিততেই এসেছি। কালকের ম্যাচ আমাদের জিততে হবে। কালকের ম্যাচ জিতলে আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। কেউই চাইবে না হারতে। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবো।”

বাংলাদেশ সফরে হেরেই চলা জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ব্রেন্ডন টেইলর, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, এল্টন চিগুম্বুরাদের ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানেই হারে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সিবান্দার বিশ্বাস, বাঁচা-মরার লড়াইয়ে এগিয়ে আসবেন দলের ক্রিকেটাররা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এই দুটি সিরিজই হয়েছিল জিম্বাবুয়েতে। অতিথিদের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ সিরিজ জিতেছিল ২০১০ সালে। সেবার ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগিতকরা।