‘চিগুম্বুরার আউটেই ম্যাচ বাংলাদেশের’

বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এল্টন চিগুম্বুরার রান আউটেই ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2014, 04:57 PM
Updated : 23 Nov 2014, 05:49 PM

রোববার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৬৮ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মাশরাফি জানান, মুমিনুল হকের ছোট্ট ইনিংসটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

“মুমিনুল একটা ভাল ইনিংস খেলেছে। আমার মনে হয়, চিগুম্বুরার রান আউটটা ছিল ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। কারণ, সে এই অবস্থায় অনেকবারই বড় ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েছে।”

জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ৪২তম ওভারে রান আউট হয়ে যান অধিনায়ক চিগুম্বুরা। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বিদায়ের সময় ৫০ বলে ৭৫ রান প্রয়োজন ছিল অতিথিদের।

দিবা-রাত্রির ম্যাচ বলে টসকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ধরা হচ্ছিল। টস জিতে আগে ফিল্ডিং অনুমিত ছিল। কিন্তু টস জেতার পর সবাইকে অবাক করে ব্যাটিং নেন মাশরাফি। এর ব্যাখ্যাও দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা ব্যাটিং করে জিততে পারবো। আগের ম্যাচে পরে বোলিং করার সময়ও উইকেটে অনেক টার্ন ছিল। আমাদের তিন পেসার ছিল, সেই জায়গা থেকে ঝুঁকিটা নিয়েছি। আর শিশিরে খেলা হলে কিছুটা ঝুঁকি থাকবেই।”

তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের ১৫৮ রানের চমৎকার উদ্বোধনী জুটির পরও কোনোমতে আড়াইশ’ পার হয় বাংলাদেশের সংগ্রহ। মাশরাফি জানান, এমন পরিস্থিতি অভ্যস্থ না হওয়ায় কি করতে হবে তা নিয়ে হয়তো তাদের মধ্য কিছুটা দ্বিধা ছিল।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে সাকিব আল হাসানকে তিনে, মুশফিকুর রহিমকে চারে, সাব্বির রহমানকে পাঁচে খেলানো হয়। আগের ম্যাচে তিনে খেলা মুমিনুল হক সাতে ও চারে খেলা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন।

ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় মাশরাফি জানান, দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের বেশি সময় ব্যাটিং করার সুযোগ করে দিতে এই পরিবর্তন করা হয়েছিল। সাতে নয়, মুমিনুল হক নিয়মিত তিনেই ব্যাটিং করবেন।

এখনই ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিয়ে ভাবতে রাজি নন অধিনায়ক। প্রথম চার ম্যাচ জেতার আগ পর্যন্ত এই ফল নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। আপাতত তৃতীয় ম্যাচের দিকেই তার পুরো মনোযোগ।

বাংলাদেশ সফরে টানা তিন টেস্টের পর টানা দুটি ওয়ানডেও হারল জিম্বাবুয়ে। মাশরাফি জানান, হারের মধ্যে থাকা দলের আত্মবিশ্বাস কম থাকতেই পারে। তবে প্রতিপক্ষের অবস্থা নিয়ে মোটেও ভাবতে চান না তিনি। বিশ্বকাপের আগে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই তার লক্ষ্য।

খুব একটা ভালো করতে পারছেন না পেসাররা। তবে তাদের বোলিং নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা নেই অধিনায়কের। খেলোয়াড়রা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে এটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।

“আগের ম্যাচের চেয়ে এই বেশি খেলোয়াড়রা পারফর্ম করেছে। ছোট-ছোট পারফর্ম করলেও অনেকেই অবদান রেখেছে। এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবার অবদান থাকলে ম্যাচ জেতা যায়।”

ব্যাটিংয়ে এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এই প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, “এটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলিনি। ছোট-খাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে হয়তো। মনে হয় না, এটা খুব গুরুতর কিছু।”