চট্টগ্রামে অপরাজেয় থাকার লক্ষ্য বাংলাদেশের

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের কাছে কখনো হারেনি বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে অপরাজেয় থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে চায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2014, 03:11 PM
Updated : 22 Nov 2014, 03:12 PM

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার বেলা সাড়ে বারোটায় শুরু হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। শিশিরের প্রভাব কমাতে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে ম্যাচটি।

এই স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই জেতে বাংলাদেশ, যার শেষটি আসে গত শুক্রবার। সেই ম্যাচেই বছরের প্রথম ওয়ানডে জয়টি পায় স্বাগতিকরা।

সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ জেতে ৮৭ রানে। এই বড় জয়ের পরও উন্নতির অনেক জায়গা আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি।

প্রথম ওয়ানডেতে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭০ রানে ফিরে যান দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যান।

মাশলাফি তাই বলেন, “আমারা জিতেছি তো মাত্র দুই/তিন জনের পারফরম্যান্সে। টপ অর্ডারের রান পেতে হবে। টেস্টে ওরা ভালো ব্যাট করেছিল, সেই পারফরম্যান্সে ফিরে যেতে হবে।”

প্রথম চার ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। তাই পেস বোলিং নিয়েও একটু দুর্ভাবনা আছে মাশরাফির।

“শুরুতে বোলিংয়ে আমরা খারাপ না। আজকে (প্রথম ম্যাচে) যেমন খারাপ করেছি এর উন্নতি করতে হবে। আল-আমিন, রুবেল আর আমার কাছে দল অনেক কিছুই প্রত্যাশা করে।”

সাকিবের নৈপুণ্যে বছরের প্রথম জয়ে খুশি মাশরাফি। আর জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে অন্যদেরও এগিয়ে আসতে বলেছেন দলের অধিনায়ক। কেবল সাকিবের একার ওপর নির্ভর করে বেশি দূর যাওয়া যাবে না বলে সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

“একটা ছেলের দিকে সব সময় তাকিয়ে থাকা ...এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দলের ১১ জনকেই অবদান রাখার চেষ্টা করতে হবে। একজনের দিকে তাকিয়ে থাকা দলের জন্য খুব কঠিন। সে পারফর্ম করলে হয়তোবা একটা নির্দিষ্ট ধাপ পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব এর পর হেরে যেতে হবে। যা হয়েছে এই বছরের শুরুর দিকে।”

আব্দুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজীর অনুপস্থিতিতে সাকিবের সঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন আরাফাত সানি। সানির সামর্থ্যে পূর্ণ আস্থা আছে মাশরাফির।

অভিষেকে নিজেকে মেলে ধরেন সাব্বির রহমান। মাত্র ২৫ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। সাব্বিরের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ বাংলাদেশের অধিনায়ক।

“ওই সময়ে মাত্র ৭ ওভার ছিল, ওই সময়ে ব্যাটিং নেমে এই রকম ইনিংস খেলা কঠিন। নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সুন্দর একটা ইনিংস খেলেছে। আশা সে এটা ধরে রাখবে।”

৩৮২ দিন পর পাওয়া জয়ের পর বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনাই বেশি। ব্যাটিংয়ে কোনো পরিবর্তন হলে দলে ফিরতে পারেন ইমরুল কায়েস।

সাকিব, সানির সঙ্গে অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উপস্থিতিতে স্পিন আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী। খেলা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনায় দুই পেসার নিয়েও খেলতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে অভিষেক হয়ে যেতে পারে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের।

জিম্বাবুয়ে দল ব্যাটিংয়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেইলর ও এল্টন চিগুম্বুরার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে ভুসি সিবান্দা, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবভার দিকেও তাকিয়ে থাকবে অতিথিরা।

টেস্টের মতো প্রথম ওয়ানডেতেও খুব একটা কার্যকর ছিলেন না জিম্বাবুয়ের স্পিনাররা। জন নিউম্বু্ ও টাফাজওয়া কামুনগোজির বলে সহজেই রান করেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। সাফল্যের জন্য তাই পেসারদের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিগুম্বুরা।