শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষা

দুবাই টেস্ট চতুর্থ দিনে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। স্পিনারদের সাফল্যে হয়তো জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দারুণ ছন্দে থাকা পাকিস্তান। শেষ দিনের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডকে অল্প রানে বেধে ফেলতে পারলে, এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন টেস্টের সিরিজ জয়ের সুযোগ রয়েছে মিসবাহ-উল-হকের দলের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 02:26 PM
Updated : 20 Nov 2014, 02:31 PM

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করেছে নিউ জিল্যান্ড। তার আগে প্রথম ইনিংসে ৩৯৩ রান করে পাকিস্তান।

সব মিলিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ১৭৭ রানে এগিয়ে আছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল, তাদের হাতে আছে চার উইকেট। প্রথম ইংনিংসে নিউ জিল্যান্ড ৪০৩ রান করেছিল।

চতুর্থ দিন ছয় উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে সপ্তম উইকেট হারায় তারা। এক ওভার পর ফিরে যান এহসান আদিল। খানিক পরে জুলফিকার বাবরও আউট হয়ে গেলে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ৩১২/৯।

এরপর শেষ ব্যাটসম্যান রাহাত আলিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সরফরাজ আহমেদ। শেষ উইকেটে তারা ৮১ রানের জুটি গড়েন।

ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তৃতীয় টেস্ট শতক করেন সরফরাজ। ১৯৫ বলে ১৬টি চারের সাহায্যে ১১২ রান করেন তিনি। ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহাত।

এই শতকের সাহায্যে পাকিস্তানের ইতিহাসে উইকেটরক্ষক হিসেবে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছেন সরফরাজ; আট টেস্টের ১৩ ইনিংসে ৭৪.১১ গড়ে ৬৬৭ রান করেছেন তিনি। আগের রেকর্ডটি ছিল কামরান আকমলের, ২০০৬ সালে ১২ টেস্টে ১৮ ইনিংসে ৬০৬ রান করেছিলেন তিনি।

৬৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সফল বোলার টিম সাউদি।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় অতিথিরা। পাক স্পিনে কাবু হয়ে এরপর থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে দলটি।

রস টেইলর ছাড়া নিউ জিল্যান্ডের আর কেউই ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ৯৩ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৭ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। এছাড়া শূন্য রানে অপরাজিত আছেন মার্ক ক্রেইগ।

অধিনায়ক ম্যাককালাম করেন ৪৫ রান।

পাকিস্তানের দুই স্পিনার বাবর ও ইয়াসির শাহ তিনটি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ৪০৩ (ল্যাথাম ১৩৭, ম্যাককালাম ৪৩; বাবর ৪/১৩৭) ও ১৬৭/৬ (ল্যাথাম ৯, ম্যাককালাম ৪৫, উইলিয়ামসন ১১, টেইলর ৭৭*, অ্যান্ডারসন ০, নিশাম ১১, ওয়াটলিং ১১, ক্রেইগ ০; বাবর ৩/৬০, ইয়াসির ৩/৬৫)।

পাকিস্তান: ৩৯৩ (মাসুদ ১৩, তৌফিক ১৬, আজহার ৭৫, ইউনুস ৭২, মিসবাহ ২৮, শফিক ৪৪, সরফরাজ ১১২, ইয়াসির ২, আদিল ০, বাবর ৫, রাহাত ১৬*; সাউদি ৩/৬৭, বোল্ট ২/৬৯, সোধি ২/৯২, ম্যাককালাম ১/১, নিশাম ১/১২, ক্রেইগ ১/১১৭)।