২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুমিনুলের। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলে আসা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন সিরিজের পাঁচ ম্যাচেই।
বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও খুব একটা ভালো করতে পারেননি মুমিনুল। এক ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি, অন্য চার ম্যাচ মিলিয়ে করেন মাত্র ৬৯ রান।
বাংলাদেশের পরের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই খেলা হয়নি মুমিনুলের। সেই শুরু এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই বসে থাকতে হয় এই ক্রিকেটারকে।
মুমিনুলের অভিষেকের পর ২৭টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। এর ২১টিতে খেলে ২৪.২১ গড়ে তিনটি অর্ধশতকসহ ৪৬০ রান করেন তিনি। তার সর্বোচ্চ রান ৬০।
একই সময়ে ১২টি টেস্টে দারুণ সফল মুমিনুল। ৪টি শতক ও ৭টি অর্ধশতকসহ ৬৩.০৫ গড়ে ১ হাজার ১৯৮ রান করেন তিনি। তার সর্বোচ্চ ১৮১ রান।
জিম্বাবুয়েকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারানোয় বড় অবদান মুমিনুলের। তিন ম্যাচে একটি শতক ও দুটি অর্ধশতকসহ ৩২১ রান করেন তিনি। এই পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডেতে তার খেলা প্রায় নিশ্চিত।
ওয়ানডেতে মুমিনুলের খেলা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ হাথুরুসিংহে বলেন, “এটা নির্ভর করবে তার পারফরম্যান্সের ওপর। সে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবে।”
হাথুরুসিংহে মনে করেন, মুমিনুল একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। ওয়ানডে সিরিজে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তা দেখানোর সুযোগ পাবেন।