‘ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য কম’

মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে কোনোমতে জেতার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সতীর্থদের আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য না থাকার বিষয়টি ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তুলে আনলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2014, 12:53 PM
Updated : 27 Oct 2014, 12:53 PM

সোমবার মিরপুর টেস্টে ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “আমাদের ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য কম। তবে ব্যাটিং নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না। তবে আশাকরি, পরের ম্যাচগুলোতে ব্যাটসম্যানরা আরো মনোযোগী, আত্মবিশ্বাসী থাকবে। তারা যেন দলের জন্য দায়িত্ব নিয়ে খেলে, জুটি গড়ার চেষ্টা করে।”

মুশফিকের বিশ্বাস, ব্যাটসম্যানরা কিছু জায়গায় উন্নতি করলে জয়টা আরো সহজ হতে পারতো। প্রথম ইনিংসে কিছু রান আউট ছিল যা এই পর্যায়ে এসে করাটা একদমই উচিত হয়নি।

মুশফিক জানান, টপঅর্ডারে জুটি গড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার বিশ্বাস, পরের ম্যাচে জুটি গড়তে পারবেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে বিদায় নেন বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান।

জিম্বাবুয়ের পেসারদের প্রশংসাও করেছেন মুশফিক। “ওরা বাজে বল খুব কম করে। যে উইকেটে আমাদের স্পিনাররা উইকেট পায়, সেখানে ওদের পেসাররাও উইকেট পায়; এর মানে, ভালো জায়গায় বল করলে আপনি উইকেট পেতে পারেন।”

নেপাল ও আফগানিস্তানের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। এই জয়ে স্বস্তি হয়েই এসেছে বাংলাদেশ শিবিরে।

“আমাদের মতো দলের জন্য টেস্ট জেতা বিশাল একটা ব্যাপার। সব সময় এমন সুযোগ আসে না। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের একটা জয় প্রয়োজন ছিল। হয়তো এভাবে জেতাটা আমাদের প্রত্যাশার মধ্যে ছিল না।”

চলতি বছর বেশ কয়েকটি ম্যাচে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। এবার আর হতাশ হতে হয়নি তাদের। শূন্য রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের বিদায় বা চা-বিরতির পর একই ওভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও শুভাগত হোম চৌধুরীর আউটের পরও কখনই জয়ের আশা ছাড়েননি বলে জানান মুশফিক।

“আমার মাথায় ছিল, আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকি, আমরা কোনোভাবেই হারব না। শাহাদাত ও তাইজুলের ব্যাটিং আমাকে আরো আত্মবিশ্বাসী করে।”

শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজে ক্রিজে থাকলেও শাহাদাত ও তাইজুলকে বেশি বল খেলতে দেয়ার ব্যাখ্যাও দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

“জিম্বাবুয়ে চাচ্ছিল, আমি শেষ দুই বলে মারার চেষ্টা করি। ওরা জানত, আমি আউট হলেই খেলা শেষ। আমি ঠিক করেছিলাম, অষ্টম উইকেট পড়ার আগ পর্যন্ত মেরে খেলব না।”