সাকিবকে ছাড়িয়ে সেরা বোলিং তাইজুলের

মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ১১৪ রানে বিধ্বস্ত করার পথে ৮ উইকেট নিয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন তাইজুল ইসলাম। সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং এখন এই বাঁহাতি স্পিনারের।

ক্রীড়া প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2014, 06:16 AM
Updated : 27 Oct 2014, 11:53 AM

টেস্টের এক ইনিংসে ৮ উইকেট নেয়ার ঘটনা বাংলাদেশের কোনো বোলারের জন্য প্রথম।

তাইজুলের বাঁহাতি ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ৭ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেই সেশনেই ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। অভিষেক টেস্টের মতো দেশের মাটিতেও নিজের প্রথম টেস্টেও এই কীর্তি গড়লেন তিনি।

দ্বিতীয় সেশনেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তাইজুল। ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে একাই তিনি ধসিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তাই বাংলাদেশেকে ১০১ রানের চেয়ে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি অতিথিরা

গত সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট অভিষেক হয় তাইজুলের। কিংসটাউনে নিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। দ্বিতীয় টেস্টে খুব একটা ভালো করতে পারেননি।

মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে নেন ১ উইকেট। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সোমবার সকালে টানা বল করে যাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনার প্রথম সেশনেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট পেয়ে যান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই নেন বাকি তিন উইকেট।

ভুসি সিবান্দাকে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করে উইকেট শিকার শুরু করেন তাইজুল।

ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন সিকান্দার রাজা। তাইজুলের পরপর দুই বলে লংঅফের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলেও একই চেষ্টা করেন তিনি। তবে এবার আর পারেননি। উপরের কানায় লেগে পয়েন্টে আসা সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান।
রাজার বিদায়ের মধ্য দিয়ে জিম্বাবুয়ে ইনিংসে ধসের শুরু হয়। নিজের পরের ওভারে জোড়া আঘাতে রেগিস চাকাবভা ও এল্টন চিগুম্বুরাকে বিদায় করেন তাইজুল।
চাকাবভা স্লিপে শামসুর রহমান ও চিগুম্বুরা দ্বিতীয় স্লিপে শুভাগত হোম চৌধুরীর ক্যাচে পরিণত হন।
ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ে। আরভিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের পঞ্চম উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৩৪ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই টিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে বিদায় করেন তাইজুল। নিজের পরের ওভারে পরপর দুই বলে টেন্ডাই চাটারা ও টাফাজওয়া কামুনগোজিকে বিদায় করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাইজুল।
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে প্রথম জয় এনে দেয়ার পর ৯৫ রানে ৭ উইকেট নেন এনামুল হক। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙেছিলেন সাকিব।

বাংলাদেশের বোলারদের ইনিংসে সেরা বোলিং:

খেলোয়াড়

ওভার

মেডেন

রান

উইকেট

প্রতিপক্ষ

মাঠ

তারিখ

তাইজুল ইসলাম

১৬.৫

৩৯

জিম্বাবুয়ে

ঢাকা

২৫ অক্টোবর ২০১৪

সাকিব আল হাসান

২৫.৫

৩৬

নিউ জিল্যান্ড

চট্টগ্রাম

১৭ অক্টোবর ২০০৮

এনামুল হক

৩৫.০

৯৫

জিম্বাবুয়ে

ঢাকা

১৪ জানুয়ারি ২০০৫

শাহাদাত হোসেন

১৫.৩

২৭

দক্ষিণ আফ্রিকা

ঢাকা

২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

এনামুল হক

২২.২

৪৫

জিম্বাবুয়ে

চট্টগ্রাম

৬ জানুয়ারি ২০০৫

সাকিব আল হাসান

২৪.৫

৫৯

জিম্বাবুয়ে

ঢাকা

২৫ অক্টোবর ২০১৪

রবিউল ইসলাম

১৯.০

৭১

জিম্বাবুয়ে

হারারে

১৭ এপ্রিল ২০১৩

সোহাগ গাজী

২৩.২

৭৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ঢাকা

১৩ নভেম্বর ২০১২

মোহাম্মদ রফিক

৩৭.২

৭৭

দক্ষিণ আফ্রিকা

ঢাকা

১ মে ২০০৩

সোহাগ গাজী

২৬.০

৭৭

নিউ জিল্যান্ড

চট্টগ্রাম

৯ অক্টোবর ২০১৩