মুমিনুল ও সাকিবের রান আউটের সময় অন্য প্রান্তে ছিলেন মাহমমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “রান আউটগুলো মেনে নেয়ার তো নয়, বিশেষ করে এই পর্যায়ে।”
রোববার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে অর্ধশতকে পৌঁছান মুমিনুল। মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে দ্বিতীয় শেষ ওভারে দ্রুত একটি রান নিতে গিয়ে মারাত্মক ভুল করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে অপেশাদারের মতো রান আউট হন মুমিনুল। টেন্ডাই চাটারার একটি বল ঠেলে দিয়েই রানের জন্য দৌড়ান মুমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ। দেখে মনে হচ্ছিল, সহজেই অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাবেন মুমিনুল।
শেষ দিকে গতি একটু মন্থর হয়ে গিয়েছিল মুমিনুলের। এরপরও রানটি হয়ে যেত, যদি তিনি ব্যাট মাটিতে নামাতেন। সেই কাজটি করেননি তিনি। সিকান্দার রাজার সরাসরি থ্রো উইকেটে আঘাত হানার সময় মুমিনুলের সামনের পা লাইন ছুঁই ছুঁই করছিল আর ব্যাট মাটি থেকে একটু ওপরে।
টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত নিতে তাই বেশি দেরি হয়নি। মুমিনুলের (৫৩) বিদায়ে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের সম্ভাবনাময় এক জুটি।
মাহমুদুল্লাহ জানান, এভাবে আউট হয়ে ভীষণ হতাশ মুমিনুল। সতীর্থরাও তার এই আউটে হতাশ।
সাকিবও রান আউট হন নিজের ভুলেই। মাহমুদুল্লাহ মিডঅফে বল পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে দৌড় শুরু করেছিলেন তিনি। রান নেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না বুঝতে পেরে ফেরার চেষ্টা করেন তিনি; চেষ্টাটি হয়তো সফল হতো যদি তিনি থমকে না যেতেন। তিনি একটু দেরি করায় সেই সুযোগে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন চাটারা।
তবে সাকিবের আউটের দায় নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। “সাকিব রান আউট আমারই ভুলে হয়েছে। আমিই কলটা দিয়েছিলাম। পরে যখন বুঝলাম পারবো না, ফিরে যেতে বলেছিলাম। বেশি দূর এসে যাওয়ায় ও যেতে পারেনি।”
সাকিবের রান আউটটা দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝির ফল হিসেবে মেনে নেয়া যায়, কিন্তু শাহাদাতের আউটটা পুরো তার নিজের দোষেই হয়েছে। টিনাশে পানিয়াঙ্গারার বল লেগের দিকে খেলেছিলেন শাহাদাত। সেখানে থাকা ফিল্ডার বল ফেলেন। তবে একটু এগিয়ে যাওয়া শাহাদাত নিজের জায়গায় ফেরার যথেষ্ট সময় পান।
খুব ধীরে এগিয়ে ব্যাট মাটিতে নামান শাহাদাত। মাটিতে নামিয়ে ব্যাটটা আর সামনে দিকে নেননি, লাইনের ওপরই ফেলে রেখেছিলেন। ততক্ষণে ক্রেইগ আরভিন বল ছুড়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।
ব্যাট লাইন অতিক্রম না করায় আউটের সিদ্ধান্ত দিতে মোটেও দেরি হয়নি তৃতীয় আম্পায়ারের।