ভালো বোলিংয়ের পর এবার রান চান সাকিব

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সাকিব আল হাসানের জন্য এক রকম ফেরাই। জাতীয় দলের হয়ে আবার খেলাটা ছয় উইকেট নিয়ে উদযাপন করে খুশি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2014, 01:47 PM
Updated : 25 Oct 2014, 01:47 PM

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সাকিব জানান, এই ম্যাচে বিশেষ কোনো লক্ষ্য নেই তার। বরাবরের মতোই দলের জন্য অবদান রাখতে চান। আর যা করতে পেরেছেন তার জন্য খুশি।

সাকিবের মারাত্মক বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৫৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনারই স্বাগতিকদের সেরা বোলার।

টস হেরে বোলিংয়ে নামার সময় দ্রুত উইকেট নেয়ার পরিকল্পনা ছিল জানিয়ে সাকিব বলেন, “গেম প্ল্যান তো ছিল বেসিক ক্রিকেট খেলার। শুরুতে উইকেট নেয়ার যে পরিকল্পনা ছিল তা আমরা করতে পেরেছিলাম। প্রথম ঘণ্টায় দুই উইকেট নিয়েছিলাম, এটা আমাদের একটা ভালো শুরু ছিল।”

বোলাররা তাদের কাজ করেছেন। এখন প্রথম ইনিংসে অন্তত সাড়ে তিনশ’ রান চান সাকিব।

“যদি চারশ’ রান করতে পারি তাহলে তো খুবই ভালো। পিচটা খুব যে ব্যাটিং সহায়ক তা কিন্তু নয়। এরপরও আমার কাছে মনে হয়, এখানে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ রান করার সামর্থ্য আমাদের আছে। এটা করতে পারলে আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য খুবই ভালো হবে।”

মিরপুর টেস্টে স্পিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করেন সাকিব। তবে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকায় নিজেদের সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন তিনি।

“পেসাররাও বেশ ভালো বল করেছে। তামিম খুব ভালো বলে আউট হয়েছে। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্ত এবং স্পিনটা আমরা একটু ভালো খেলি। মাঠে ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে আমরাই এগিয়ে থাকবো।”

আড়াই সেশনে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করাকে দলীয় প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে দেখছেন শেষ চার টেস্টের তিনটিতেই পাঁচ উইকেট নেয়া সাকিব।

“জুবায়ের সবার প্রশংসা পাওয়ার মতো বল করেছে। দীর্ঘ দিন পর দলে ফিরে শাহাদাতও ভালো করেছে। কে উইকেট পেল গুরুত্বপূর্ণ নয়, বোলিং ইউনিট হিসেবে সফল হতে পারাটাই বড় ব্যাপার।”

বিসিবি প্রথমে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল সাকিবকে। পরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানো হয় তার। এরপর এশিয়া কাপ ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেও জাতীয় দলের হয়ে এই প্রথম খেললেন তিনি।

“ওই দুই-তিন (নিষেধাজ্ঞার সময়টা) মাস একটু তো কঠিন সময় গেছেই। তবে প্রথম বলটি করার আগে দর্শকরা যেভাবে সমর্থন করেছে তাতে আমার সব চিন্তা, বা অন্য কিছু অনুভূতি থাকলেও, তা তখনই চলে গেছে। দলের জন্য অবদান রাখতে পারা, সমর্থকদের জন্য খেলতে পারাই হবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।”

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই প্রথম পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। ফলে টেস্ট খেলেছেন এমন সব প্রতিপক্ষের সঙ্গেই পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন সাকিব। কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই কোনো টেস্ট খেলেননি তিনি।সাকিব এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার অপেক্ষায় আছেন।

“অস্ট্রেলিয়ার সাথে যদি খেলা হয়, আর (পাঁচ উইকেট) পেয়ে যাই; তাহলে একটা ভালো অভিজ্ঞতা থাকবে। যখন ক্যারিয়ার শেষ করবো তখন অবশ্যই একটা চমৎকার অনুভুতি হবে।”