ব্যর্থতা পেছনে ফেলার সুযোগ বাংলাদেশের

বাজে সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। তবে এবার আর তার পুনরাবৃত্তি চায় না তারা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে তাই জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না স্বাগতিকরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2014, 03:54 PM
Updated : 24 Oct 2014, 03:54 PM

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।

জিম্বাবুয়ে সফরে শেষ দুটি সফরে সব মিলিয়ে তিনটি টেস্ট খেলে দুটিতেই হারে বাংলাদেশ। সেই হারের প্রতিশোধ নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি চায় বাংলাদেশ। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে জিম্বাবুয়ে ৯ ও বাংলাদেশ ১০ নম্বরে রয়েছে।

দেশের মাটিতে খেলার পূর্ণ সুবিধা নিতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। স্পিন সহায়ক উইকেট যে চান তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েকজন স্পিনার নিয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ে। তবে দুই লেগস্পিনার নাটসাই মুসাংওয়ে, টাফাজওয়া কামুনগোজি, বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, অফস্পিনার জন নিউম্বু খুব একটা অভিজ্ঞ নন। তাই স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলা হলেও চাপটা তাদের ওপরই বেশি থাকবে।

অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরসহ জিম্বাবুয়ের ছয় ক্রিকেটার গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেন। কন্ডিশন সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলানো তাদের জন্য কঠিনই হবে।

নিষেধাজ্ঞ কাটিয়ে সাকিব আল হাসান ফেরায় বাংলাদেশ দল এখন অনেক ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গী হতে পারেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন।

মুশফিক জানান, ২০ উইকেট নেয়ার সামর্থ্য তার বোলারদের রয়েছে। তবে জয়ের জন্য বড় রান চান তিনি।

“সাকিব ফেরায় আমাদের স্পিন বিভাগ শক্তিশালী হয়েছে, ব্যাটিংটাও কিছুটা মজবুত হয়েছে। উদ্বোধনী জুটির সমস্যা মিটেছে। তামিম ছন্দে এসেছেন। মুমিনুল, রিয়াদ, শুভাগত ভালো খেলছে। ব্যাটিংয়ের প্রথম সাতজন আমাদের মূল শক্তি।”

প্রথম টেস্টে, প্রথম সেশনের প্রথম বল থেকে পূর্ণ মনোযোগ চান মুশফিক। জয়ের জন্য কঠোর অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এখন সময় মাঠে তার প্রয়োগের।

চলতি বছরে আফগানিস্তান ও নেপাল ছাড়া কাউকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ছন্দে ফিরতে একটা জয় চাই-ই বাংলাদেশের। সেই পথে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত যেন কোনো বাধা না হয় তার জন্য এবার থাকছে সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা পদ্ধতি বা ডিআরএস।

মুশফিক বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ডিআরএস ছিল। সেখানে অনেকগুলো আপিলে আমরা সফল হয়েছিলাম। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটু এদিক সেদিক হলে পুরো ম্যাচ উল্টে যায়। আশা করব, সব আমাদের পক্ষে থাকবে।”