বেতন-ভাতা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা আর খেলতে না চাওয়ার পর সফরের বাকি ম্যাচগুলো আর হচ্ছে না বলে ভারতীয় বোর্ড জানালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড তা প্রথমে অস্বীকার করেছিল। দুই বোর্ডের পরস্পরবিরোধী বিবৃতিতে শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে চতুর্থ ওয়ানডে চলাকালে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানায়, বেতন নিয়ে খেলোয়াড় ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যকার ঝামেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিরে যাচ্ছে। এতে তারা মর্মাহত এবং ভীষণ হতাশ।
পরে ফেইসবুকের মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বিসিসিআইয়ের দাবি অস্বীকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি)। তারা জানায়, ভারতে চলমান সফর বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেয়নি। ধর্মশালায় চতুর্থ ওয়ানডে চলার সময়েই এসব ঘটছিল।
তবে ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ডোয়াইন ব্র্যাভো সাংবাদিকদের বলেন, “দুঃখজনকভাবে সফর শেষ হয়ে গেল।”
অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামি টুইট করেন, “হানি, আই অ্যাম কামিং হোম।”
এরপর আবার ফেইসবুকে বিবৃতিতে দিয়ে ডব্লিউআইসিবি জানায়, খেলোয়াড়রা ভারত সফরের বাকি ম্যাচগুলো না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অধিনায়ক ব্র্যাভো বোর্ডকে জানিয়েছে।
ডব্লিউআইসিবি বাকি পাঁচটি ম্যাচের জন্য অন্য একটি দল পাঠাতে চেয়েছিল, কিন্তু বিসিসিআই তা মেনে নেয়নি।
বিবৃতিতে ডব্লিউআইসিবি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ভক্তদের কাছে সফর আগেভাগেই শেষ হওয়ার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে।
এবারের সফরে আরেকটি ওয়ানডে, একটি টি-টোয়েন্টি ও ৩ টেস্টের সিরিজ খেলা বাকি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
ধর্মশালায় ৫৯ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। এর আগে বিশাখাপত্তমে তৃতীয় ওয়ানডে ঘূর্ণিঝড় হুদ হুদের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে গেলে ভারতের সূচিতে যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে, তা পূরণ করতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করেছে ভারত, যা শুরু হবে আগামী মাসে।