বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর অপরাধে তার আট বছরের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে পাঁচ বছর করেছেন ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুর রশিদ। যার মধ্যে আছে দুই বছরের ক্ষমাযোগ্য শাস্তি।
সোমবার দেয়া ওই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আশলাফুল বলেন, “এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি এখন দ্রুত ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে চাই।”
সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো এক ই-মেইলে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৩ অগাস্ট বা তারপর ক্রিকেটে ফিরতে পারেন আশরাফুল।
গত বছরের ১৩ অগাস্ট থেকে কার্যকর রয়েছে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা। তাই ২০১৬ পর্যন্ত ক্রিকেটের বাইরে থাকতেই হচ্ছে সাবেক এই অধিনায়ককে। এর মধ্যে বিসিবি বা আইসিসির শিক্ষা বা পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে সাবেক এই অধিনায়ককে। সেক্ষেত্রে তিন বছর পর বাতিল হতে পারে বাকি দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা।
জরিমানা করা ১০ লাখ টাকা অবশ্য দিতেই হচ্ছে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ককে।
এখনো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে আশরাফুলের। রায় পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে সেখানে আপিল করতে হবে তাকে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করবেন কি না, তা এখনও জানাননি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে শতকের রেকর্ডধারী আশরাফুল।