ফলো-অনের শঙ্কায় বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ফলো-অনের শঙ্কায় বাংলাদেশ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2014, 02:43 PM
Updated : 14 Sept 2014, 09:43 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৮০ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৪ রান। ফলো-অন এড়াতে এখনো ৭৭ রান প্রয়োজন অতিথিদের।

প্রথম টেস্টেও ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ ১০ উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে অতিথিরা।

তামিম ইকবাল ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি।

মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমকে ফেরান জেরোম টেইলর। এর আগে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান অর্থাৎ তামিম, শামসুর রহমান ও এনামুল হককে বিদায় করেন কেমার রোচ।

এক সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৬২ রান। এরপর মাত্র ৭ রান যোগ করতে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অতিথিরা।

ছন্দ হারিয়ে ফেলা নাসির হোসেনের পর তাইজুল ইসলামকে বিদায় করে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো ৫ উইকেট নেন রোচ। ৩৩ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার।

৮৯ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও শফিউল ইসলাম। মাহমুদুল্লাহ ১৩ ও শফিউল ৬ রানে ব্যাট করছেন।

এর আগে রোববার ৩ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে রানের জন্য লড়াই করতে হয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। প্রথম আধঘণ্টায় ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি। এসময় ‘নো বল’ থেকে আসে দুটি রান।

আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেতে বেশি দেরি হয়নি বাংলাদেশের বোলারদের। ড্যারেন ব্র্যাভোকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করে ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন রবিউল ইসলাম। রিভিউ নিয়েছিলেন ব্র্যাভো। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি, বদলায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।

শুরু থেকেই ভালো বল করা আল-আমিন হোসেন পরপর দুই বলে জেরেমাইন ব্ল্যাকউড ও দিনেশ রামদিনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। ব্ল্যাকউড স্লিপে এনামুলের ক্যাচে পরিণত হন আর রামদিনকে গ্লাভসবন্দি করেন মুশফিক।

আল-আমিনের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া শিবনারায়ন চন্দরপল টেইলর ও সুলেমান বেনের সঙ্গে দুটি অর্ধশত রানের জুটি গড়ে দলকে চারশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান।

এর আগে রোচকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন শফিউল।

এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা টেইলরকে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করে অষ্টম উইকেটে ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। এই জুটিতে টেইলরের অবদান ৪০ রান।

নবম উইকেটে চন্দরপলের সঙ্গে বেনের ৫২ রানের জুটি ভাঙার কৃতিত্ব আল-আমিনের। ডিপ ফাইন লেগে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বেনের ক্যাচটি তালুবন্দি করেন শফিউল।

রবিউল এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে বোল্ড করলে শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ৮৪ রানে অপরাজিত থেকে যান চন্দরপল। তার ১৯৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চারে।

৮০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আল-আমিন বাংলাদেশের সেরা বোলার। দুটি করে উইকেট নেন রবিউল, শফিউল ও তাইজুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৮০ (ব্রেথওয়েইট ৬৩, জনসন ৬৬, এডওয়ার্ডস ১৬, ব্র্যাভো ১৬, চন্দরপল ৮৪*, ব্ল্যাকউড ৮, রামদিন ০, রোচ ০, টেইলর ৪০, বেন ২৫, গ্যাব্রিয়েল ৪; আল-আমিন ৩/৮০, রবিউল ২/৬৩, শফিউল ২/৮০, তাইজুল ২/৮৯, মাহমুদুল্লাহ ১/৪৯)

বাংলাদেশ: ১০৪/৭ (তামিম ৪৮, শামসুর ১, এনামুল ৯, মুমিনুল ৩, মুশফিক ৪, মাহমুদুল্লাহ ১৩*, নাসির ১, তাইজুল ১২, শফিউল ৬*; রোচ ৫/৩৩, টেইলর ২/৩৩)