ব্যাট হাতে মাত্র ৩৬ বলে ৬৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন থিসারা। তার ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়। বল হাতেও সমান সফল এই অলরাউন্ডার। মাত্র ৩ ওভার বল করে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
মঙ্গলবার হাম্বানটোটার মাহিন্দা রাজাপাকসা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৩১০ রান করে শ্রীলঙ্কা।
৬২ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে মাহেলা জয়াবর্ধনের সঙ্গে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
৭৪ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৬৭ রান করে জয়াবর্ধনের বিদায়ের পর সেকুগে প্রসন্ন ও আশনা প্রিয়াঞ্জন দ্রুত তাকে অনুসরণ করলে আবারো অস্বস্তিতে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন ম্যাথিউস ও থিসারা। সপ্তম উইকেটে ৯.৩ ওভারে এই দুজন গড়েন ৮৭ রানের জুটি। দলকে তিনশ রানের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও মাত্র ৭ রানের জন্য শতক থেকে বঞ্চিত হওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরেন ম্যাথিউস।
১১৫ বলে খেলা ম্যাথিউসের ৯৩ রানের ইনিংসটি ৮টি চার সমৃদ্ধ। শেষ ওভারে থিসারা ফেরার আগে তিনশ’ রানে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ ৪ উইকেট নেন ৬৫ রানে।
জবাবে ৪৩ ওভার ৫ বলে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানে শারজিল খান বিদায় নিলেও পাকিস্তানকে ১ উইকেটে ১১৪ রানের ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজ।
কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় লক্ষ্যের ধারে কাছেও যেতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে শহীদ আফ্রিদি ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি।
ওয়াহাব, আফ্রিদি ও ফাওয়াদ আলমকে ফেরানো থিসারাই শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার।
শনিবার ডাম্বুলায় হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ৩১০/৯ (থারাঙ্গা ২৭, দিলশান ১৩, সাঙ্গাকারা ১১, জয়াবর্ধনে ৬৭, ম্যাথিউস ৯৩, প্রসন্ন ১, প্রিয়াঞ্জন ৩, থিসারা ৬৫, কুলাসেকারা ৫*, মালিঙ্গা ০; ওয়াহাব ৫/৬৫, হাফিজ ৩/৩৯, জুনায়েদ ১/৬৪)
পাকিস্তান: ৪৩.৫ ওভারে ২৩৩ (শেহজাদ ৫৬, শারজিল ৯, হাফিজ ৬২, আকমল ১, মিসবাহ ৩৬, ফাওয়াদ ৩০, মাকসুদ ৯, আফ্রিদি ১৭, ওয়াহাব ৫, জুনায়েদ ১, ইরফান ১*; থিসারা ৩/১৯, প্রসন্ন ২/৩৬, হেরাথ ২/৩৮, মালিঙ্গা ২/৫৬, দিলশান ১/২৫)
ম্যাচ সেরা: থিসারা পেরেরা।