প্রথম ওয়ানডেতে তিন উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্বাগতিকদের জয়ে বড় অবদান রামদিনের সঙ্গে পোলার্ডের ১৪৫ রানের বড় জুটির। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ দিকে রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। তবে এনামুল হকের শতকে স্বাগতিকদের সামনে মোটামুটি লক্ষ্য দাঁড় করায় অতিথিরা।
বুধবার গ্রেনাডার সেন্ট জর্জে ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২১৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ ওভার ৪ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুরুতে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিস গেইল পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে আল-আমিন হোসেনের হাতে ধরা পড়ার সময় স্বাগতিকদের সংগ্রহ মাত্র ৯ রান।
দশম ওভারে মাশরাফির জায়গায় বল করতে এসেই সাফল্য পান আল-আমিন। ড্যারেন ব্র্যাভোকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার।
আল-আমিন ১২তম ওভারে লেন্ডল সিমন্স ও ১৪তম ওভারে ডোয়াইন ব্র্যাভোকে ফিরিয়ে দিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় ৩৪/৫। মাঝখানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বোল্ড করেন কার্ক এডওয়ার্ডসকে।
এরপরই অতিথিদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন পোলার্ড ও রামদিন। ৩৫তম ওভারের শেষ বলে রামদিনকে বোল্ড করে ২১ ওভার ৫ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন সোহাগ গাজী। রামদিনের (৭৪) ৭৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ৬টি চার ও ১টি ছক্কায়।
দলের রান দুইশ’ পার হওয়ার পর বিদায় নেন পোলার্ডও (৮৯)। আল-আমিনের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ৭০ বলের ইনিংসটি ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় সমৃদ্ধ।
বাকি কাজটুকু সুনিল নারাইনকে নিয়ে সহজেই সারেন জেসন হোল্ডার।
এর আগে তামিম ইকবালের সঙ্গে এনামুলের ৪১ রানের জুটি বাংলাদেশকে সতর্ক সূচনা এনে দেয়। দশম ওভারে একবার জীবন পেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তামিম। হোল্ডারের বল পুল করতে গিয়ে পোলার্ডকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস বিদায় নেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে। দুই রানের জন্য দৌড় শুরু করে এনামুলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ায় সময় মতো পৌঁছাতে না পেরে ফিরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
নারিনের বলে স্লিপে একবার জীবন পেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি চার নম্বরে নামা শামসুর রহমান। ডোয়াইন ব্র্যাভোর বল তার ব্যাট ছুঁয়ে রামদিনের গ্লাভসে জমা পড়লে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অতিথিদের স্কোর তখন ৮০/৩।
দুই অঙ্কে পৌঁছালেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। গেইলের বল সুইপ করতে গিয়ে নারিনের ক্যাচে পরিণত হন মুশফিক। আর ডোয়াইন ব্র্যাভোর বল প্যাডে লেগে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লের (৩৬-৪০) প্রথম ওভারটিই এনামুলের কাছ থেকে মেডেন নেন নারিন। পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি এনামুল ও নাসির হোসেন।
ম্যাচের প্রথম অর্ধশত রানের জুটি উপহার দেয়ার পর বিদায় নেন নাসির। ৫৩ রানের জুটিতে তার অবদান ২৬ রান।
এনামুলের জন্য ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে নিজের উইকেট উৎসর্গ করেন সোহাগ। এই ব্যাটসম্যানের রান আউটের পর সেই ওভারেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকে পৌঁছান এনামুল।
৭৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো এনামুল তিন অঙ্কে পৌছান ১৩৩ বলে। শেষ বলে এলবিডব্লিউ হওয়া এনামুলের (১০৯) ১৩৮ বলের ইনিংসটি ১১টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার ডোয়াইন ব্র্যাভো।